বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা আলোচিত এ মামলায় সোমবার অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির ধার্য দিনে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম এবং বাপেক্সের সাবেক কর্মকর্তা মো. শফিউর রহমানের পক্ষে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন এ এফ এম ওয়াদুদসহ তাদের আইনজীবীরা।
মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া হাজিরা দেন।
অন্যতম আসামি মওদুদ আহমদের পক্ষে আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন এবং তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ শুনানির জন্য সময় চান।
আরেক আসামি সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের পক্ষে তার আইনজীবী সময় চাইলেও বিচারক তা নাকচ করে দেন।
এরপর ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল কবীর আগামী ১৫ জানুয়ারি অন্য আসামিদের শুনানির দিন ধার্য করেন। অব্যাহতি চাওয়া আসামিদের আবেদনের বিষয়েও সিদ্ধান্তও সেদিন জানা যাবে।
এই মামলার কার্যক্রমের উপর হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ খারিজ হওয়ার পরও বার বার বিভিন্ন আসামির সময় আবেদনের কারণে অভিযোগ গঠনের শুনানি বার বার পেছাতে থাকে।
নথিপত্রে দেখা যায়, মামলাটিতে ১১ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের অভিযোগ শুনানি শেষ হয়েছে। এর আগের একটি দিন আসামি সি এম ইউসুফের পক্ষে অব্যাহতির আবেদন শুনানি হয় খুব সংক্ষিপ্ত। সে কারণে সোমবার থেকেই মূলত অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হল বলে জানান পেশকার ফোরকান।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগে মামলাটি করা হয়।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়ে।
অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।