বিএনপি নেত্রীর শাস্তির পর ওইসব নেতাদের অনেকে ভিন্ন দল গঠন করে নেতৃত্ব দিতে ও কেউ কেউ ক্ষমতাসীন বা অন্য দলে যোগ দিতে চায় বলেও দাবি সাবেক এই মন্ত্রীর।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে একথা বলেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, “মির্জা ফখরুল সাহেব সংবাদ সম্মেলন করেছেন, সেখানে তিনি বলেছেন- অনেকের সাথে আগামী নির্বাচন নিয়ে ঐক্য হতে পারে। ফখরুল সাহেব যে প্রকারান্তরে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিলেন, সেজন্য তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই, অভিনন্দন জানাই।
“তবে ফখরুল সাহেব, ভিতরে ভিতরে আপনার পাশে বসা অনেক নেতা সরকারের সাথে যোগাযোগ করে বলে, ‘বেগম জিয়ার কেন এখনো শাস্তি হয় না’। বিএনপির অনেক নেতা লাইন ধরে আছে যে, কখন খালেদা জিয়ার শাস্তি হবে। শাস্তি হওয়ার পর বেগম খালেদা জিয়াকে টাটা-বাই বাই দিয়ে সরকারের সাথে যোগদান করবে কিংবা ভিন্ন দল গঠন করবে।”
দলের নেতাদের এই মনোভাব নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল পরের কোনো সংবাদ সম্মেলনে কিছু বলবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ নামে একটি সংগঠন আয়োজিত ওই মানববন্ধন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন অভিযোগ এনে তা ফেরত আনার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
হাছান বলেন, “২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষকে যদি জিজ্ঞাসা করা হত, আলী বাবার চল্লিশ চোর থেকে আরো বড় কোনো চোর আছে কিনা, তখন দেশবাসীর কাছে সেই নাম হত খালেদা জিয়া।”
খালেদা জিয়ার দুর্নীতি সম্প্রতি আটক সৌদি যুবরাজদের বক্তব্য থেকে বেরিয়ে এসেছে বলে দাবি করেন সাবেক এই বনমন্ত্রী।
“আর তাদের মধ্যে আছে বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকো এবং তারেক রহমানের মামা এবং বেগম খালেদা জিয়ার ভাই।”
সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “যেভাবে আরাফাত রহমানের কোকোর টাকা ফেরত আনা হয়েছে, যেভাবে তারেক রহমানের টাকা ফেরত আনা হয়েছে, একইভাবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক; এবং সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে কথা বলে তার সম্পতি বাজেয়াপ্ত করে সে সম্পত্তির বিক্রিত অর্থ বাংলাদেশে ফেরত আনা হোক।
“আত্মস্বীকৃত দুনীতিবাজ, তার দুনীতি যখন বিদেশে ধরা পড়েছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হক টুকু এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা।