এরশাদও এত খারাপ ছিল না: ফখরুল

আওয়ামী লীগের শাসনামল দমনপীড়নে এইচ এম এরশাদ আমলকেও হার মানিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2017, 06:21 PM
Updated : 6 Dec 2017, 06:21 PM

এরশাদের পতন দিবস উপলক্ষে বুধবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “নব্বই সালে যে ছাত্র গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, সেই স্বৈরাচার এরশাদও এত খারাপ ছিলো না। এট লিস্ট তাদের একটা সৌজন্যবোধ ছিল যে আমি একটা জনসমাবেশের মধ্যে গুলি চালাবো না। এটার জন্যে পতনের দিন এই সন্ধ্যায় তাদের লোকজন (এরশাদের লোকজন) চলে গিয়েছিল, পদত্যাগ করেছিল।”

সামরিক শাসক এরশাদ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সম্মিলিত আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলেন।

তার সঙ্গে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনকালের তুলনা করে ফখরুল বলেন, “আপনারা (সরকার) এই কয়েক বছরের মধ্যে কতজন মানুষ মেরেছেন হিসাব করেন। আজকে এমন একটা জেলা নেই, উপজেলা নেই যেখানে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নেই।”

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম মারুফ জামানের অন্তর্ধানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এই গায়েব শুরু করেছেন গত ৬/৭ বছর ধরে। একে একে আমাদের সংসদ সদস্যদের গায়েব করেছেন, কমিশনারকে গায়েব করেছেন, বুদ্ধিজীবীকে গায়েব করেছেন, শিক্ষককে গায়েব করেছেন, ছাত্র নেতা-যুব নেতাদের গায়েব করেছেন। এদেশে এখন আর কেউ নিরাপদ নয়।

“এদেশের ইতিহাসকে আপনারা (আওয়ামী লীগ) গায়েব করে দিয়েছেন। এখন বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে গায়েব করছেন।”

মামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “কাকে ভয় দেখাচ্ছেন? বেগম খালেদা জিয়াকে? যিনি ৯ বছর কোনো আপস করেননি। ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের সঙ্গে কিন্তু তিনি আপস করেননি, আপস করলে তিনি আজ প্রধানমন্ত্রী থাকতেন।”

আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করে নেওয়া হবে বলে সরকারকে সতর্কবার্তা দেন তিনি।

“নির্বাচন দিতে হবে, সেই নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায়। এখানে অন্য কোনো হাংকি-ফাংকি করে লাভ হবে না।”

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘৯০‘র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যে’র উদ্যোগে এই আলোচনা সভায় ফখরুল ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ডাকসুর তৎকালীন ভিপি আমানউল্লাহ আমান, তৎকালীন ছাত্রনেতা শামসুজ্জামান দুদু, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, নাজিমউদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, রফিক শিকদার, খোন্দকার লুৎফর রহমার, আসাদুর রহমান আসাদ, সাইফুদ্দিন মনি।