বিজয়ের মাসে বিএনপির ১২ দিনের কর্মসূচি

বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2017, 10:47 AM
Updated : 6 Dec 2017, 10:47 AM

বুধবার সকালে দলের যৌথ সভার পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও বিজয় শোভাযাত্রা প্রভৃতি।

বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি ১৯ ডিসেম্বর বিকালে মহানগর নাট্যমঞ্চে আলোচনা সভা, ১৭ ডিসেম্বর বিকালে ঢাকায় বিজয় শোভাযাত্রা ও ২৪ ডিসেম্বর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিকালে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করবে।

আর বিজয়ের দিন সকালে খালেদা জিয়া দলের নেতাদের নিয়ে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং এরপর শেরে বাংলানগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের  কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবেন তিনি।

বিজয় দিবস উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ জেলা কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোকসজ্জা করা হবে।

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা এবং ১৩ ডিসেম্বর মহানগর নাট্যমঞ্চে আলোচনা সভা হবে।

ওইদিন ভোরে মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

ব্রিফিংয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “স্বাধীনতার মূল যে লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র, তা আজ নেই। আজকে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার নবসংস্করণ তৈরি করার জন্য ক্ষমতাসীনসরা অত্যন্ত ক্ষীপ্রতার সঙ্গে এগোচ্ছে। জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা স্বাধীনতার সমস্ত চেতনা ও মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোকে ধুলিসাৎ করে দিয়েছে। সেজন্য এবারের বিজয় দিবস আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

“১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমরা নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। প্রত্যেকটি জেলায় জাতীয় পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধা ও পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

সারাদেশে গণগ্রেপ্তার ও মঙ্গলবার পুরনো ঢাকার আদালত থেকে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় ফেরার পথে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়ানো নেতাকর্মীদের ওপর পু্লিশের হামলা, দলের ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাসেলসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।

বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পাঁচ কর্মী গ্রেপ্তারের নিন্দাও জানান তিনি।

এর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে যৌথসভায় অংশ নেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।