বিকালে এক আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ একথা বলেন।
তিনি বলেন, “আজকে তারেক রহমানের জন্মদিন। কী রকম প্রতিহিংসামূলক একটি সরকার হতে পারে যে জন্মদিনে রাষ্ট্রদ্রোহ একটি মামলায় তারেক রহমানসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে মহানগর জজ আদালতে বিচার শুরু করার আদেশ দিয়েছেন। বাবা একটু সহ্য করে দুই দিন পরে অর্ডারটা দিলে কী হত?
“কিন্তু না, কারণ তারেক রহমানকে তারা ভয় পায়, তার জনপ্রিয়তা তাদেরকে প্রকম্পিত করে, তাদেরকে ভীতি করে, সন্ত্রস্ত করে। যে কারণে তারা এই ধরনের প্রতিহিংসামূলক সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।”
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য একুশে টিভি সরাসরি সম্প্রচার করলে পরদিন তারেক রহমান ও একুশে টেলিভিশনের মালিক আবদুস সালামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চায় তেজগাঁও থানা পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর তেজগাঁও থানার এসআই বোরহান উদ্দিন ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি এ মামলা করেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী যুব ফোরামের উদ্যোগে যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কারাবন্দি সভাপতি রফিকুল আলম মজনুকে মুক্তির দাবিতে এই সভা হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক মাসুদ রানার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, শাহাজাদা মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদল মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা শাহিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভার পর তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন নেতারা।