জামালপুরে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “আপনি কাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন? আপনার কাছে কে ক্ষমা চেয়েছেন?
“শেখ হাসিনা কখনোই কারো কাছে মাথা নত করেন নাই। পনেরো অগাস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঘটনা ও একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে কারা ছিল বাংলার মানুষ তা জানে।”
বৃহস্পতিবার জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্যের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হাসিনার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রধান খালেদা এ মন্তব্য করেন।
সরকারের বিরুদ্ধে জিয়া পরিবারের সঙ্গে বৈরী আচরণের অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেছেন, তারপরও শেখ হাসিনাকে ‘ক্ষমা করে দিয়েছেন’ তিনি, প্রতিহিংসামূলক কিছুই করবেন না।
বঙ্গবন্ধুর খুনিরা জিয়াউর রহমানের ছত্রছায়ায় দেশ থেকে পালিয়েছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, “জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থেকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করে বিদেশে পাঠিয়েছেন। ওইসব খুনিদের ক্ষমা করা যায় না।”
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সংবিধান অনুযায়ী দেশের চলমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে, বলেন কাদের।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ আর মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে হবে। দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শেষ করতে এদেশে শেখ হাসিনার সরকার আরেকবার দরকার। তাই আগামী নির্বাচনে আবার শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকে ভোট দিবেন।”
সকালে মেলান্দহ উপজেলার হাজরাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত পথসভায় বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের।
পথসভা শেষে দুপুরে জামালপুর-মাদারগঞ্জ সড়কের দাঁতভাঙ্গা, ঝারকাটা ও কালু মণ্ডলেরদহ নামের তিনটি সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, জামালপুর জেলা সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ প্রমুখ।