তিনি বলেন, “জনাব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও হয়রানিমূলক।
“যে দেশের প্রধান বিচারপতিকে জোরপূর্বক দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়, যেখানে বিরোধী দলের নেতারা সরকারের কী ধরনের নিষ্ঠুর আক্রোশের শিকার হবেন, তা সহজেই অনুমেয়।”
এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ‘সরকারের নির্দেশে’ হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
এদিকে যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলও দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে কর্মসূচি দিয়েছে।
যুবদল মঙ্গলবার জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ, স্বেচ্ছাসেবক দল মঙ্গলবার জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ সভা, ছাত্রদল মঙ্গলবার জেলা, মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক যুক্তরাজ্যে নয় বছর ধরে অবস্থানের মধ্যে গত ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে তার দেওয়া বক্তব্য ধরে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করে পুলিশ।
ওই মামলায় সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত তারেকসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
রিজভী এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদের গাড়িতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলা এবং সহ কৃষি বিষয়ক সহসম্পাদক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল ফারুককে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভীর সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরফত আলী সপু।