এই ১১ জনের মধ্যে দুজন সাক্ষীকে জেরা খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ইতোপূর্বে করেছিলেন; তাদের আর জেরা করার প্রয়োজন নেই বলে আদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
বাকি নয়জনের জেরা খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা না করলেও মামলার আরেক আসামি তার ছেলে তারেক রহমানের আইনজীবীরা করেছেন। ওই জেরা খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও ব্যবহারের আদেশ দিয়ে হাই কোর্ট।
রোববার বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাই কোর্ট বেঞ্চ খালেদার আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেয়।
আদালতে খালেদার পক্ষে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী; তার সঙ্গে ছিলেন জাকির হোসেন ভূইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৭ জুলাই এই ১১ সাক্ষীর বিষয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন বিচারিক আদালত নাকচ করে দিলে তারা হাই কোর্টে আসেন।
“হাই কোর্ট ২ সাক্ষীর পুনরায় জেরার প্রয়োজন নেই বলে আদেশ দিয়েছে। তবে ৯ জনের জেরার বিষয়ে আদালত বলেছে, এই মামলায় তারেক রহমানের ক্ষেত্রে এই ৯ জনকে জেরা করা হয়েছে। ওই জেরাই খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।”
হাই কোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার কথা জানিয়ে আইনজীবী জাকির বলেন, “মামলা এক হলেও বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এক না। দুজনের বিরুদ্ধে দুই অভিযোগ।
“তাছাড়া ৯ সাক্ষির জেরা অ্যাডপ্ট করব কি করব না, সেটা আমাদের বিষয়, আদালত সেটা বলে দিতে পারে না। তাই হাই কোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করব।”
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই খালেদার বিরুদ্ধে রমনা থানায় এই মামলা করে দুদক।
২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়ে। এতে তারেক রহমান ছাড়াও আসামি করা হয় সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের পর শুরু হয় মামলাটির বিচার।