‘ভালো নির্বাচনের’ প্রত্যাশায় মঞ্জু

সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে ভোটের পক্ষে মত দিয়েছে জাতীয় পার্টি-জেপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2017, 09:24 AM
Updated : 19 Oct 2017, 09:24 AM

সেই সঙ্গে সেনা মোতায়েন, সীমানা পুনর্বিন্যাস ও ইভিএমের বিপক্ষে মত দিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে অন্তত আটটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করেছে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন এই দল।

সকালে জেপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মহাজোটের শরীক দলটির নেতা মঞ্জু বলেন, “আমাদের বক্তব্য তো সংবিধানের বাইরে যাবে না; গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বারবার যেখানে আঘাত করা হয়েছে, সেখানে আমাদের একটা স্ট্যান্ড ছিল। আমাদের অবস্থান নির্বাচনের পক্ষে।”

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (ফাইল ছবি)

আগামীতে ‘ভালো নির্বাচন হোক’ সে প্রত্যাশা মঞ্জুর।

তিনি বলেন, “একবারেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে? সেই পাকিস্তান আমল থেকে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হয়েছে, প্র্যাকটিস করতে দেওয়া হয় নি।”

সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা মঞ্জু বলেন, “আমরা সেনা মোতায়েনে পক্ষে না, বিপক্ষেও না। সেনা বলে কোনো গোষ্ঠী বা জাতি এখানে নেই। সবাই মানুষ।”

ভোটকে সামনে রেখে জাতীয় সংলাপের প্রয়োজন রয়েছে কিনা জানতে চাইলে জেপি চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা আমাদের সংলাপ করি; আমরাই তো জাতি, বিজাতি নাকি?”

পরে দলের মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, “অর্থবহ অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন চাই। সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক। তবে একটি বা দুটি রাজনৈতিক দল অংশ না নিলে অর্থবহ হবে না- তা নয়। সত্তরের নির্বাচনে মওলানা ভাসানীর দল অংশ না নিলেও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। আগামীতেও এ রকম গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ইসিকে একটি নিরপেক্ষ ভূমিকা নিতে বলেছি।”

নির্বাচন ভবন

প্রশাসনকে সহায়তা করতে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন হলে তা করা যেতে পারে বলে মত দেন তিনি।

সহায়ক সরকার বা নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি ইসির এখতিয়ারের বাইরে থাকায় তা নিয়ে কোনো মত দেয় নি দলটি।

ইসির সামনে ‘সুন্দর নির্বাচন করাই’ আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মন্তব্য করে শেখ শহীদুল বলেন, ‍“নির্বাচনকালীন সরকারের সময় ইসি ও সরকারের ইতিবাচক ভূমিকা থাকলে সহায়ক সরকারের কোনো দরকার নেই।”

তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত না হলেই ভোটে ইভিএমের ব্যবহার; তা নাহলে ইভিএম ব্যবহারের বিপক্ষে আমরা মত দিয়েছি।

বৈঠকে উপস্থিত ইসি কর্মকর্তারা জানান, সংবিধান অনুযায়ী ভোট, প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন, ভোটে ইভিএম না রাখা, সংসদীয় আসনের সীমানা বহাল, রাজনৈতিক দলকে মনিটরিং, ভোটার তালিকা নির্ভুল করাসহ আট দফা সুপারিশ রয়েছে দলটির।