ফেরার পর খালেদাকে শুভেচ্ছা জানাতে প্রস্তুতি নেতা-কর্মীদের

তিন মাস পর বুধবার যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া; দলীয় কোনো কর্মসূচি না থাকলেও তাকে শুভেচ্ছা জানাতে বিমানবন্দর সড়কে অবস্থান নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে নেতা-কর্মীদের।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2017, 04:19 PM
Updated : 17 Oct 2017, 04:19 PM

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরে নামবেন খালেদা জিয়া। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গুলশানের বাসায় যাবেন তিনি।

দলীয় চেয়ারপারসনের ফেরা উপলক্ষে বিএনপির কোনো কর্মসূচি নেই।

জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নাগরিক সংবর্ধনা জানানোর মতো কেনো কেন্দ্রীয় কর্মসূচি আমরা রাখিনি।

“তবে ম্যাডাম বিদেশে গেলে অথবা দেশে ফিরলে নেতা-কর্মীরা তাকে বিদায় অথবা অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান করে। এটা সব সময় হয়ে থাকে।”

মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন।

বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকাল ৩ টা থেকে তাদের নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে বিমানবন্দর থেকে বনানীর কাকলী পর্যন্ত সড়কের ফুটপাতে অবস্থান নেবেন তারা।

তিনটি মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্যে খালেদা জিয়া ফিরছেন দেশে।

ফেরার পর বিএনপি চেয়ারপারসনকে গ্রেপ্তারের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না- মঙ্গলবার সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

তিনি বলেন, “পরোয়ানা হাতে আসলে এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পরোয়ানা এখনও পুলিশের হাতে পৌঁছেনি বলে আইজিপি এ কে এম শহীদুল হককে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।

বিএনপি নেতা ও সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ মনে করেন, খালেদাকে গ্রেপ্তারের মতো ‘ভুল’ সরকার করবে না।

ব্যারিস্টার মওদুদ মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, “ওয়ারেন্ট ইস্যুটা অনেকটা রাজনৈতিক প্রভাবে ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য হয়েছে বলে আমি মনে করি।

“অনেকে জিজ্ঞাসা করেছেন, ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে, তাহলে কী হবে এখন? আমি বলব, কিছুই হবে না। উনি (খালেদা) আসবেন এবং আদালতে হাজির হবেন।”

চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার পথে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)

চিকিৎসার জন্য গত ১৫ জুলাই খালেদা জিয়া লন্ডন যান। বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ছিলেন তিনি। ঈদও করেন সেখানে।

এরপর গত ৮ সেপ্টেম্বর মুরফিল্ড হাসপিটালে এই অস্ত্রোপচার হয়। এছাড়া তিনি হাটুর আর্থারাইটিস রোগের চিকিৎসাও নেন।

মওদুদ বলেন, “উনি (খালেদা) আইন ও আদালতকে সম্মান দেখানোর জন্য চিকিৎসার কিছুটা অংশ বাদ দিয়ে দেশে চলে আসছেন।

“তিনি আসবেন এবং পরের দিন কোর্টে যাবেন। নিয়ম হল যে, কারও বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হলে আসামি যদি আবার আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সঙ্গে সঙ্গে ওয়ারেন্ট সেখানেই শেষ হয়ে যায় এবং জামিনও পুনর্বহাল হয়।”