মঙ্গলবার বিকালে ইসির সংলাপে দলটি ৫ দফা সুপারিশ করে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর নেতৃত্বে দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলটি কোনো দাবি না রাখলেও লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছে, বর্তমানে যে রাজনৈতিক অবস্থা বিদ্যমান, সে পরিস্থিতিতে সহায়ক সরকার কিংবা নির্দলীয় সরকার ব্যতিত নির্বাচন কমিশনের একটি সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং সর্ব সাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করা অনেকাংশে কঠিন হয়ে পড়বে।
বিজেপির লিখিত পাঁচ দফা সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- ভোটের ১০দিন আগে বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন ও প্রশাসনে রদবদল করা, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ঝুকিঁপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের তালিকা নিয়ে ভোটকেন্দ্রের বাইরে ও ভেতরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা, প্রবাসীদের ভোটদানের ব্যবস্থা করা, ইসির আস্থা অর্জন করা এবং হলফনামার পাশপাশি অঙ্গীকার নামা দিতে হবে।
সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসি ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি; ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং ২৪ আগস্ট থেকে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে ইসি। এ পর্যন্ত ৩৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে কমিশন।
বুধবার সকাল ১১টায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, ১৯ অক্টোবর সকালে জাতীয় পার্টি-জেপি; বিকালে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সঙ্গে মতবিনিময় করার কথা রয়েছে।
এরপর ২২ অক্টোবর পর্যবেক্ষক, ২৩ অক্টোবর নারী নেত্রী এবং ২৪ অক্টোবর নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও বসবে ইসি।
এর মধ্য দিয়ে চলমান সংলাপের সমাপ্তি হবে।