নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকেও চায় বিএনএফ

শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখে নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকেও রাখার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশে ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2017, 11:12 AM
Updated : 17 Oct 2017, 11:12 AM

বিএনপির ঘোর আপত্তির মুখে নিবন্ধন পাওয়া দলটি মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে এই প্রস্তাব তুলে ধরে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে সরকারকেও আহ্বান জানায়।

সভাপতি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে বিএনএফের ২৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়।

সংলাপ শেষে আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর পর নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। তবে ওই সরকারে অন্য দলগুলোকেও রাখার প্রস্তাব রেখেছেন তারা।

দশম সংসদ নির্বাচনের সময় শেখ হাসিনা তার মন্ত্রিসভায় অন্যদলগুলোকেও ঠাঁই দিয়েছিলেন। তখন বিএনপিকে প্রস্তাব দেওয়া হলেও নির্দলীয় সরকার না হওয়ায় ওই প্রস্তাব তারা গ্রহণ করেনি।

এবার ইসির সংলাপে এইচ এম এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি দশম সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব দিয়েছে। অর্থাৎ তাদের প্রস্তাবে বাদ পড়েছে দশম সংসদ নির্বাচনকারী দল বিএনপি।

বিএনএফ এক্ষেত্রে টেকনোক্রেট হিসেবে বিএনপিকে মন্ত্রিসভায় আনার প্রস্তাব দিয়েছে।

আজাদ বলেন, “আমরা বিএনপির কথাও বলেছি। সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি, এলডিপি, বিজেপি থেকে ইচ্ছা করলে প্রধানমন্ত্রী টেকনোক্রেট মন্ত্রী নিতে পারেন।”

তবে বিএনপি যে ‘সহায়ক সরকারের’ প্রস্তাব দিয়েছে, সে ধরনের কোনো সরকারের বিষয়ে নিজেদের অসম্মতির কথা জানিয়েছে বিএনএফ।

আজাদ বলেন, “সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই না। ইসির অধীনে নির্বাচন হবে। তখনকার সময়ের সরকার নির্বাহী কাজে সহযোগিতা করবে। নির্বাচনে সব কাজে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা ঠিক হবে না।”

সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে নানা প্রস্তাব দিলেও এগুলোর সমাধানের এখতিয়ার ইসির নেই। সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেছেন,যেসব প্রস্তাবের বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই,সেগুলো সংশ্লিষ্টদের জানাবেন তারা।

বিএনএফের সঙ্গে সংলাপে সিইসি নূরুল হুদা ছাড়াও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনএফ সংলাপে ৫টি প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রতিশোধের রাজনীতির পরিবর্তে সমঝোতার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে; সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে বাৎসরিক আর্থিক সহযোগিতা (থোক বরাদ্দ) দিতে কমিশনকে উদ্যোগ নিতে হবে; নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অভিন্ন পোস্টার, মঞ্চ ব্যবস্থা করা ভোটারসহ সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।