সিইসির উপর প্রধান বিচারপতির ‘ভূত’: যুবলীগ চেয়ারম্যান

জিয়াউর রহমানের গুণগান করায় সিইসি কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার আচরণের মিল খুঁজে পাচ্ছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2017, 03:59 PM
Updated : 17 Oct 2017, 12:58 PM

“প্রধান বিচারপতিকে এক রকম ভূতে পেয়েছিল.. এবার ভূতে পেয়েছে সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে,” বলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটির নেতা।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর ক্ষমতাসীনদের সমালোচনার মধ্যে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ছুটিতে যাওয়া নিয়ে তুমুল আলোচনা চলেছে সপ্তাহ খানেক ধরে।

আইনমন্ত্রী অসুস্থতার কথা জানালেও বিদেশ যাওয়ার আগে তা অস্বীকারের পাশাপাশি বিচার বিভাগে সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ করে যান তিনি।

ক্ষমতাসীনরা প্রধান বিচারপতিকে ছুটি দিয়ে বিদেশে যেতে বাধ্য করেছে বলে বিএনপির অভিযোগের বিপরীতে তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের কথা আসছে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্য থেকে।

প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে আলোচনার মধ্যেই রোববার বিএনপির সঙ্গে সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদার কণ্ঠে জিয়ার গুণগান আসে।   

যুবলীগ চেয়ারম্যান সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে একরকম ভূতে পেয়েছিল। এজন্য তিনি ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কারও একক নেতৃত্বে হয়নি।

বিচারপতি এস কে সিনহা

“এবার ভূতে পেয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে। এজন্য তিনি জিয়াকে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা বলেছেন। এছাড়াও সূচনা বক্তব্যে তিনি বিএনপিকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দেন।”

‘বিএনপির মুখপাত্রের মতো’ কথা বলে সিইসি তার নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন বলে মন্তব্য করেন ওমর ফারুক।

তিসি সিইসির উদ্দেশে বলেন, “জিয়া যদি বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা (পুনঃপ্রবর্তক) হন, তাহলে জাতির পিতা কি গণতন্ত্রের হত্যাকারী? মি. হুদার মতে গণতন্ত্রের ঘাতক কে ছিলেন?”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিইসি নূরুল হুদা হয়ত বিএনপিকে খুশি করতে ওই প্রশংসা করেছেন।

ওমর ফারুক বলেন, “অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কোনো দলকে তৈলমর্দন জরুরি নয়। বাংলাদেশের সংস্কৃতি হল, নিরপেক্ষতা প্রমাণের জন্য হয় আওয়ামী লীগকে গালি দিতে হবে অথবা বিএনপিকে প্রশংসা করতে হবে।

“এক শ্রেণির সুশীল ১৯৭৫ এর ১৫ অগাস্টের পর জাতির ওপর এই ভারসাম্য তত্ত্বের ভূত চাপিয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে আস্তে আস্তে বাংলাদেশ একটি সহনীয় অবস্থার দিকে এসেছে।”