সিইসির কৌশল হতে পারে, ধারণা ওবায়দুল কাদেরের

জিয়াউর রহমানের গুণগান গাওয়া বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে সিইসির কৌশল হতে পারে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2017, 01:31 PM
Updated : 16 Oct 2017, 04:10 PM

তবে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে কে এম নূরুল হুদা আসলে কী বলেছেন, সে বিষয়টি আগে নিশ্চিত হতে চাইছে ক্ষমতাসীন দলটি।

রোববার বিএনপির সঙ্গে সংলাপে নূরুল হুদা সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের প্রশংসা করে বলেছিলেন, “তার হাত দিয়েই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে।”

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তার ওই বক্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া না এলেও আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগ তার প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার ইসির সংলাপ বর্জন করে।

সোমবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিশ্ব খাদ্য দিবসের অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেওয়ার সময় সাংবাদিকরা চিরকূট পাঠিয়ে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “প্রধান নির্বাচন কমিশনার জিয়াকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বলেছেন, তিনি এটি ভেতরে বলেছেন, তিনি কোনো প্রেস ব্রিফিং করেননি। এটি আমাদের কনফার্ম হতে হবে।”

বিএনপির সঙ্গে সংলাপে সিইসি নূরুল হুদা

আওয়ামী লীগের সঙ্গে ইসির সংলাপে বিষয়টি স্পষ্ট হবেন বলে আশা করছেন তিনি। 

“আমাদেরও সংলাপ আছে, কাজেই আমাদের যা কিছু জানার, এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হব,তিনি আসলে কী বলেছেন। এ নিয়ে তার সাথে কথা বলার সুযোগ আছে।”

তবে সিইসি যদি ওই বক্তব্য দিয়ে থাকেন, তা দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে আনার কৌশল খাটিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।  

“এটি বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসার কৌশলও হতে পারে। বিএনপিও খুব আশাবাদী, মির্জা ফখরুলের বিষণ্ন মুখে খুব খুশি খুশি ভাব দেখলাম, এই আশাবাদী ভাবটা যেন আগামী নির্বাচন পর্যন্ত থাকে,এটি আশা করি।”

বিএনপি আমলে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল তখনকার যুগ্মসচিব নূরুল হুদাকে। পরে পক্ষে আদালতের রায় পেয়ে সচিব হিসেবে তিনি অবসরে যান। 

এবার সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর তাকে ১৯৯৬ সালের ‘জনতার মঞ্চের লোক’ বলে প্রতিক্রিয়া জানায় বিএনপি। তবে নূরুল হুদা বিএনপিকে হটানোর ওই আন্দোলনে সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে আসছেন।

ইসির কাছে নিরপেক্ষতা প্রত্যাশা করে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ইসি নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করুক, এটা আওয়ামী লীগ চায় না।”

খাদ্য দিবসের এই অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমি স্বীকার করব এবং স্বীকার করতেই হবে, বাংলাদেশে একটি কোয়াইট রেভুলেশন হয়েছে কৃষি সেক্টরে, নিঃশব্দ বিল্পব হয়ে গেছে। এই বিপ্লবের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রূপকার মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীও তার উপর গভীর আস্থা রাখেন।”

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ২০১০ সালের পর দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছিল। বাংলাদেশ খাদ্য রপ্তানিও করেছিল, শ্রীলঙ্কাকে খাদ্য সহায়তা পাঠিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক দুই দফা বন্যা হয়েছে, এর উপর রোহিঙ্গা ইস্যু আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

‘অভিবাসনের ভবিষ্যৎ বদলে দাও খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াও ‘ স্লোগানে এবার বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন করা হচ্ছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন, সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান, ড, আব্দুল মান্নান, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ভাগ্য রাণী বনিক বক্তব্য রাখেন।