আহমেদ হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট এখন আর ‘জাতীয় ইস্যু না, আন্তর্জাতিক ইস্যু’। জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছে, তা শেখ হাসিনার কূটনৈতিক সাফল্যের কারণেই হয়েছে।
“অনেকে বলছে রোহিঙ্গারা আসছে শেখ হাসিনার জন্য অভিশাপ হয়ে। আমি বলব, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসছে শেখ হাসিনার জন্য আর্শীবাদ হয়ে।”
এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এর জন্যই রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বিশ্ব নেতারা শেখ হাসিনার প্রশংসা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদার অব হিউম্যানিটি উপাধি পেয়েছেন। আর বিএনপি নেত্রী হলেন মাদার অব বার্বারিটি।”
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দমন পীড়নের মুখে গত দেড় মাসে সোয়া পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এই সঙ্কট নিরসনে গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নাশকতার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি প্রসঙ্গে আহমেদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে খালেদা জিয়াকে ‘গ্রেপ্তার করা ছাড়া বিকল্প নেই’।
বিএনপি নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আইনের শাসন বাংলাদেশে আছে। আপনি অপরাধ করেছেন, আপনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এখন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে।”
অন্যদের মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।