শনিবার দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার বেলা ১১টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে এই সংলাপের সময়সূচি নির্ধারিত রয়েছে।
ইসি সংলাপের প্রতিনিধি দলে কারা থাকবেন, কত সদস্যের হবে প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমাদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সব সদস্যরা যাচ্ছেন।”
ইসি থেকে সংলাপের আমন্ত্রণে ১০ জনের প্রতিনিধি দলের কথা উল্লেখ করার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিলে মির্জা ফখরুল বলেন, “ওইটা আমরা চিঠি দিয়েছি, আমাদের স্থায়ী কমিটির যতজন সদস্য তারা যাবেন।”
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ১৯টি পদের মধ্যে বর্তমানে ১৬ জন দায়িত্বে রয়েছেন।
এরা হচ্ছেন- চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ফখরুল ইসলাম আলমগীর (মহাসচিব), আমীর খসরু মাহমুদ, সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তরিকুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার ও রফিকুল ইসলাম মিয়া অসুস্থ রয়েছেন।
আ স ম হান্নান শাহও স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন, যিনি গত বছর মারা গেছেন।
সংলাপে যাওয়ার আগে শনিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক বৈঠক হয়। এতে মহাসচিব ফখরুলসহ উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল হালিম, ইসমাইল জবিউল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
ওই বৈঠকের পর বিএনপির এক নেতা জানান, স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব প্রতিনিধিদলে যুক্ত হবেন।
শনিবার নয়া পল্টনে নিজের চেম্বারে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা কাল (রোববার) ইলেকশন কমিশনের সংলাপে যাচ্ছি। সেখানে আমাদের বক্তব্য লিখিত আকারের উপস্থাপন করব। যে কথাগুলো আমরা এতদিন ধরে বলে আসছি, সেই কথাগুলো আমরা বলব। নাউ ইট ইজ দ্যা টার্ন অব ইলেকশন কমিশন। তারা কিভাবে রি-অ্যাক্ট করে, তাদের দায়িত্ব।”
বিএনপির লিখিত বক্তব্য গণমাধ্যমকেও দেওয়া হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে পরামর্শ পেতে গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার মধ্য দিয়ে শুরু হয় নির্বাচন কমিশন সংলাপ। এর ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর ২৪ আগস্ট থেকে শুরু হয় নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ।
এবার দলগুলোকে নিবন্ধনক্রমের নিচ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সে হিসেবে বিএনপির জন্য ১২ অক্টোবর ও আওয়ামী লীগের জন্য ১৫ অক্টোবর সংলাপের প্রস্তাব করা হয়।
কিন্তু বিএনপি দলীয় কর্মসূচির কথা বলে ১৫ অক্টোবর বসতে চাইলে তাদের জন্য সেইদিনই ঠিক করা হয়। আওয়ামী লীগের অনুরোধে সংলাপের জন্য তাদের সময়ও পিছিয়ে দেওয়া হয় ১৮ অক্টোবর।