ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না: কাদের

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা ফাঁকা মাঠে ‘গোল’ দিতে চান না, শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে বিজয়ী হতে চান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Oct 2017, 04:05 PM
Updated : 13 Oct 2017, 04:05 PM

তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোট বর্জন করে সংসদের বাইরে আসা বিএনপি এখন নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক সরকারের’ দাবি তুলে এ বিষয়ে সমঝোতার জন্য সংলাপের আহ্বান জানালেও তাতে গা করছে না আওয়ামী লীগ।

এ বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করে কয়েকদিন আগে মির্জা ফখরুল বলেন, তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি যেমন ড্রিবলিং করে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের দিকে এগিয়ে যান, তেমনি করে এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ ‘ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার’ লক্ষ্যে।

তার ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মিরপুরে এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি একটি বড় দল, তাদের বাইরে রেখে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে আমরা চাই না। দুর্বল মাঠে গোল দেব-এই চিন্তা আওয়ামী লীগের নেই।

“আমরা উন্নয়ন অর্জনের এমন অবস্থায় পৌঁছেছি, শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা এতই তুঙ্গে, এমনকি সারা দুনিয়ায়; একটা পদ্মা সেতু করে শেখ হাসিনা যা করেছে বিএনপির সারা শাসনামলে দেখানোর মতো একটা উন্নয়ন কোথাও নেই।

“তাহলে কেন? কেন আমরা বিএনপিকে ভয় পাব? আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। বিএনপিকে ছাড়া আমরা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না বা দুর্বল প্রতিপক্ষ চাই না। আমরা শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে আবারও বিজয় অর্জন করতে চাই।”

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর বিএনপির প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের। এ প্রসঙ্গে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর দলটির প্রতিক্রিয়ার কথাও তোলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমি প্রথমে প্রশ্ন করব মির্জা ফখরুল সাহেবকে, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কে জারি করেছে- সরকার, না আদালত? এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি তো সরকার করেনি।

“আজকে যখন ষোড়শ সংশোধনীর রায় প্রদান করে তখন বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। আর যখন বাংলাদেশের আদালত বিএনপি চেয়ারপারসনকে কোনো মামলার কারণে বারবার পরোয়ানা দিলেও হাজির হন না। ১৫০ বার হাজিরা মিস করেছে, এইভাবে সময়ের পর সময় তারিখের পর তারিখ তিনি বদলান। এখন তো তিনি বিদেশে, দলের কাছ থেকে ছুটি নিয়েছেন দুই মাসের, চার মাস হয়েছে।

“ফখরুল সাহেবও জানেন না তিনি কবে দেশে আসবেন। তাহলে আদালতের হাজিরা আর কতকাল তার জন্য বন্ধ রাখতে হবে? আর সে বন্ধ রাখা কি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা? নিজেদের বেলা হলে সরকারের দোষ, আর সরকারের বিরুদ্ধে হলে বিচার বিভাগ স্বাধীন?”