শুক্রবার বিকালে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আমরা সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছি, আলোচনার টেবিলে বসে এই সমস্যার সমাধান করতে চাই। পাশাপাশি এটা ভুলে গেলে চলবে না আমরা যতদিন না এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করব, আমরা যতদিন না সরকারকে বাধ্য করব আলোচনার টেবিলে আসার জন্য, ততদিন তারা আলোচনার টেবিলে আসবে না।
“সেজন্য একটি মাত্র পথ আমাদের সামনে খোলা আছে সেটা হচ্ছে, যে প্রক্রিয়ায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি, সেই প্রক্রিয়াকে সেমিনার রুম থেকে আমাদের রাজপথে প্রসারিত করতে হবে। রাজপথে প্রসারিত করে আমাদের মূল্যবোধের শক্তি দিয়ে, আমাদের নৈতিক শক্তি দিয়ে এই সরকারকে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে যে এভাবে গায়ের জোরে দেশ শাসন করা যায় না।”
বার্মা (মিয়ানমার) ‘মগের মুল্লুক’ হলেও বাংলাদেশ কোনোদিন তা হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এই আলোচনা সভা হয়। নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য এর আয়োজন করে।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে এবং তাকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বোকা বানানো যাবে না বলেও মন্তব্য করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটি নিয়ে তিনি বলেন, “সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না। তারা একটি শাসনে বিশ্বাস করে- আমরা মুখে যা বলব সেটাই আইন। তার একটি উদাহরণ কয়েকদিন আগে আপনারা দেখেছেন।
“দেশের বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যিনি অধিষ্ঠিত তার যখন স্বাধীনতা নাই, সেখানে দেশে ১৬ কোটি মানুষের কার স্বাধীনতা আছে আপনারা বলতে পারেন আমাকে?”
ডাকসুর সাবেক সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও নাজিমউদ্দিন আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবীর খোকন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, খন্দকার লুৎফর রহমান, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, আসাদুর রহমান খান আসাদ, ফেরদৌস আহমেদ, রফিক শিকদার, শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।