বৃহস্পতিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে ২১ দফা সুপারিশ দিয়েছে দলটি।
দলের সভাপতি মোহাম্মদ আরশ আলীর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল মতবিনিময়ে অংশ নেয়, যাতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।
বৈঠক শেষে গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি আরশ আলী সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ২১ দফা প্রস্তাব দিয়েছি। আমরা বলেছি, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধানের আলোকে বর্তমান সরকারের বা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে।
তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকার দৈনন্দিন কার্যাবলী ছাড়া নীতিগত কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে না।
দলটির অন্য প্রস্তাবনার মধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের অধীনস্ত রাখা, নির্বাচনকালীন সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া রয়েছে।
এছাড়া যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ও জঙ্গি তৎপরতায় যুক্ত ব্যক্তি, মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করা; প্রবাসীদের ভোটাধিকার; ফৌজদারি দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত ব্যক্তিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া; নির্বাচনে ধর্মের সর্বপ্রকার ব্যবহার, সাম্প্রদায়িক প্রচার প্রচারণা ও ভোট চাওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে নিষিদ্ধ করা; স্বাধীনতা বিরোধী ও ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক দলকে নিবন্ধন না দেওয়া এবং সমস্ত স্বায়িত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের চাকরি ছাড়ার পর নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাবনা রয়েছে।