বৃহস্পতিবার সকালে এক ‘জরুরি সংবাদ সম্মেলনে’ বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তার দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, “আজকে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের ডাকা যে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, এই হরতাল তারা ডেকেছে তাদের নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে; তাদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে যে রিমান্ডে নেওয়া হল, তার প্রতিবাদে। আমি দলের পক্ষ থেকে জানাতে চাই, জামায়াতে ইসলামের এই সকাল-সন্ধ্যা হরতালকে সমর্থন জানাচ্ছে বিএনপি।”
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল ১০টায় রিজভী যখন জামায়াতের হরতালে সমর্থণ জানিয়ে ব্রিফ করছিলেন, তখন ঢাকার আর সব জায়গার মত ওই সড়কেও যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
সকাল ৬টা থেকে ঘোষিত এই হরতালের মধ্যে রাজধানীতে জামায়াত নেতাকর্মীদের তেমন কোনো তৎপরতার খবর পাওয়া যায়নি। মোড়ে মোড়ে পুলিশের বাড়তি উপস্থিতি ছাড়া হরতালের তেমন কোনো নমুনাও চোখে পড়েনি।
পুলিশ বলছে, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারার লক্ষ্যে গোপন বৈঠক’ করার সময় ঢাকার উত্তরার একটি বাড়ি থেকে ওই জামায়াত নেতাদের আটক করা হয়।
অন্যদিকে ‘মিথ্যা মামলা’ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের রিমান্ডে পাঠানোর প্রতিবাদে এবং তাদের মুক্তির দাবিতে গত মঙ্গলবার দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ওই হরতালে সমর্থন দিয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, “আমি গতকালকে বলেছিলাম যে আমরা সমর্থন জানাব কি জানাবো না- তার কোনো নির্দেশনা নেই। এখন আমার কাছে নির্দেশনা আছে যে দলের পক্ষ থেকে তাদের (জামায়াত) হরতালকে পূর্ণ সমর্থন জানানো হচ্ছে।”
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট জামায়াতের এ কর্মসূচিতে সমর্থন দিচ্ছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সেটা ২০ দলীয় জোটের ব্যাপার। বিএনপি জামায়াতের হরতালকে সমর্থন দিচ্ছে।”
রিজভী বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির কোনো কর্মসূচি যাতে না হয়, সেজন্য ‘ভয় দেখাতে’ জামায়াত নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওই মামলাকে ‘পরিকল্পিত’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “উত্তরার বাসা থেকে হঠাৎ গ্রেপ্তার করা হল, অথচ মামলা দেওয়া হয়েছে কদমতলী থানায়। এ থেকে বোঝা যায়, এটা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই, বিরোধী রাজনৈতিক দল ও ২০ দলীয় জোট যাতে কোনো কর্মসূচি পালন করতে না করে।”
অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।