মঙ্গলবার বিকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে এই প্রস্তাব তুলে ধরেন গত বছর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ছেড়ে আসা ঐক্যাজোটের নেতা আবদুল লতিফ নেজামী।
তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা মূল্যায়ন করে প্রয়োজনে স্পর্শকাতর এলাকায় সেনাবাহিনী নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। তবে ঢালাওভাবে সেনাবাহিনী নিয়োগ করার প্রয়োজন নেই বলে আমরা মনে করি।”
ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান নেজামীর নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপে সেনা মোতায়েন ছাড়াও ১১টি প্রস্তাব তুলে ধরে ইসলামী ঐক্যজোট।
আব্দুল লতিফ নেজামী বলেন, ইসির উদ্যোগে প্রার্থীর নাম, দল ও প্রতীকের উল্লেখ সম্বলিত অভিন্ন পোস্টারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল যোগ্য প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাবে।
নির্বাচনে অনৈতিকভাবে জেতার প্রয়াসকে প্রতিহত করা, পোলিং বুথে সব প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের নির্ভয়ে কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা, প্রতিটি কেন্দ্রের নির্বাচনী ফলাফল জনসমক্ষে ঘোষণা করা এবং প্রত্যেক প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের ‘সার্টিফিকেট’ ইস্যু বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করে দলটি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, “কোন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে সেটা ঠিক করবে সরকার। এখানে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার নেই।”
ইসি ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে গত ৩১ জুলাই নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হয়।
এরপর ১৬ ও ১৭ অগাস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর ২৪ আগস্ট থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ চলছে। অক্টোবরের মধ্যে সব অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষ করার কথা ইসির।