জামায়াত আমির-সেক্রেটারি রিমান্ডে

জামায়াতে ইসলামীর আমির মকবুল আহমাদ, নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সেক্রেটারি জেনারেল শফিউর রহমানকে পুরনো দুটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2017, 12:32 PM
Updated : 10 Oct 2017, 03:13 PM

সোমবার রাতে উত্তরা থেকে আটক নয়জনের মধ্যে এই তিনজনসহ আটজনকে মঙ্গলবার বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের পুরনো দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার  আদালতে পাঠানো হয়।

দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার ওসি সাজু মিয়া প্রতিটি মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।

অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন চাওয়া হয়।

শুনানি শেষে মহানগর হাকিম গোলাম নবী আসামি পক্ষের আবেদন নাকচ করে জামায়াত নেতাদের পাঁচ দিন হেফাজতের আদেশ দেন।

এই জামায়াত নেতারা হলেন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আমির মো. শাহজাহান, সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমির জাফর সাদেক, মো. নজরুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম (৪২)।

রিমান্ডের আদেশ শুনে এজলাসে কান্নায় ভেঙে পড়েন জামাোতের নারী কর্মী এবং নেতাদের স্বজনরা।

এর আগে এজলাসে ঢোকার পথে তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দেন মকবুল।

উত্তরার একটি বাড়ি থেকে জামায়াত আমির ও সেক্রেটারি জেনারেলসহ মোট নয়জনকে গ্রেপ্তারের কথা পুলিশ সোমবার রাতে জানিয়েছিল। তার মধ্যে বাড়িওয়ালা নওশের আলীও ছিলেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম এবিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জামায়াতের এই নেতাদের বৈঠকের সঙ্গে বাড়িওয়ালার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তারের সময় জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারার লক্ষ্যে গোপন বৈঠক’কে কারণ দেখিয়েছিল পুলিশ।

আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “এত দূরে কদমতলী থানার দুই মামলায় করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

“আসামিদের নাম এজহারে নেই, ঘটনার সময় কেউ কেউ দেশের বাইরেও ছিলেন। এর আগে এই মামলায় যারা রিমান্ডে গেছে, তারা এই আটজন কারও নাম বলেনি।”

আসামিদের বয়স ও অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে তাদের কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী রাজ্জাক।

শুনানিতে শাহ জাহান, জাফর সাদেক ও নজরুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী সাইফুর রহমান বলেন, এ তিনজনের কেউ ঘটনার সময় কদমতলী এলাকায়ও ছিলেন না।

জামায়াত নেতাদের পক্ষে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের নেতা সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, এই মামলা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক।

তিনি পিপি আবদুল্লাহ আবুকে ইঙ্গিত করে বলেন, তিনিও তো একটি রাজনৈতিক দল করেন। তার বোঝার কথা যে বিএনপির বিরুদ্ধেও এ রকম হাজার হাজার মামলা হচ্ছে।

উত্তরে আবদুল্লাহ আবু বলেন, তারাও (বিএনপি)তো আমাদের বিরুদ্ধে এ রকম মামলা করেছিল।