প্রধান বিচারপতির ছুটি নিয়ে পত্রিকাগুলো চুপ: গয়েশ্বর

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ছুটি নিতে ‘বাধ্য করা’ হলেও বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যম সরব নয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2017, 05:08 PM
Updated : 9 Oct 2017, 05:08 PM

তিনি বলেছেন, “এটা যদি এই আমলে না হয়ে সেই আমলে হত, এমন কি এরশাদ আমলে হত, তাহলে পত্র-পত্রিকার পাতাগুলো ভরপুর থাকত, লেখার ঝড় উঠত। এত বড় একটা নির্মম, কঠিন ও নিষ্ঠুর আচরণের পরও পত্রিকাগুলোর চুপ।”

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সরকারের আচরণের প্রতিবাদে সরব হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান গয়েশ্বর।

“বিচার বিভাগের সাথে রাজনীতিবিদসহ সকল জনগণ কানেকটেড। এটা শুধু আইনজীবীদের ব্যাপার নয়। তাই এর প্রতিবাদ করা সকলের দায়িত্ব। এখন রাস্তায় নামতে হবে।”

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতেসোমবার শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের উদ্যোগে ‘উচ্চ আদালত ধ্বংসের নীল নকশার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় একথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন বাতিলের রায় দেওয়ার কারণে বিচারপতি সিনহাকে ‘জোর করে’ ছুটি দেওয়ার পর বিদেশে ‘পাঠানোর ষড়যন্ত্র’ করছে বলে দাবি করে আসছে বিএনপি।

গয়েশ্বর বলেন, প্রধান বিচারপতির ছুটির ঘটনায় সরকারের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।

“গোটা ঘটনাটি বিচার বিভাগের উপর নগ্ন হামলা। অর্থাৎ সরকার যে নির্দেশ দেবে, তারা যা বলবে বিচার বিভাগকে তাই করতে হবে, বিচারপতিতে তাই করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে সরকারের রূপ বা মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।”

এই রায়টি আপিল বিভাগের হলেও শুধু প্রধান বিচারপতির উপর সরকারের ‘খড়গহস্ত’ হওয়ার সমালোচনাও করেন বিএনপি নেতা।

“এসকে সিনহাকেযদি ছুটি নিতে হয়, তাহলে বাকিরা একসঙ্গে ছুটি নেন না কেন?  ওই রায়টা তো আমরা জানি সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত। তাহলে এর প্রতিবাদ স্বরূপ আপনারা সকলে ছুটি চাইলেন না কেন?”

অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদীন মেজবাহ, আবদুল আউয়াল খান, কাদের গনি চৌধুরী, তমিজউদ্দিন মাস্টার বক্তব্য রাখেন।