বর্তমান আসন সীমানায় পরবর্তী ভোট চায় জাসদ

নতুন করে আদম শুমারি প্রতিবেদন না হওয়ায় একাদশ সংসদ নির্বাচনে দশম সংসদীয় আসনের সীমানা বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে হাসানুল হক ইনু নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2017, 12:15 PM
Updated : 8 Oct 2017, 12:15 PM

রোববার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শরিক দলটি মোট ১৭টি সুপারিশ তুলে ধরেছে।

এর মধ্যে নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামীর কেউ যেন বিএনপি বা অন্য দলের হয়ে ভোটে অংশ নিতে না পারে, সেই সুপারিশও রয়েছে।

যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিতদের দল জামায়াতের অনেকে বিএনপি ও তাদের ২০ দলীয় জোটের হয়ে ভোটের পরিকল্পনা করছে বলে জাসদের ধারণা।

দলটি ইসিকে বলেছে, জামায়াতের কেউ বিএনপি বা অন্য কোনো দলের নামে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারে সে বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে।

সভাপতি ইনুর নেতৃত্বে জাসদের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে ইসির সংলাপে অংশ নেয়।

পরে জাসদ সভাপতি সংলাপে উত্থাপিত তাদের প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন।

জাসদ বলেছে, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি আদমশুমারির সঙ্গে সংযুক্ত। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নতুনভাবে কোনো আদমশুমারি হচ্ছে না।

“বিধায় আমরা মনে করি, দশম সংস নির্বাচনের সংসদীয় আসন বহাল রেখেই একাদশ সংসদ নির্বাচন করতে হবে।”

দলছুট সংসদ সদস্যদের ‘জাসদের’ নামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো নামে নতুন দল নিবন্ধনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও সুপারিশ করেছে ইনু নেতৃত্বাধীন দলটি।

নিবন্ধিত এ দলটি ভাঙনের পর শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান ও সংসদ সদস্য মইনউদ্দিন খান বাদলের নেতৃত্বে জাসদের আরেকটি অংশ সচল।

কারও নাম উল্লেখ না করে ইনুর প্রস্তাবে বলা হয়েছে, “একটি নিবন্ধিত দল থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য অনিবন্ধিত দলে যোগদান করলে তা ওই অনিবন্ধিত দলকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোয়ালিফাই করবে না বলে বিধান যোগ করতে হবে।”

জাসদের অন্য প্রস্তাবগুলো হচ্ছে-নিবন্ধিত দলকে ব্যয় নির্বাহে ও প্রচারণায় নিয়মিত অনুদান, সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ইভিএম ব্যবহার, দলের অনুদান আয়কর মুক্ত করা, অনলাইনে মনোনয়নের ব্যবস্থা, ভোটে কালো টাকার ব্যবহারে প্রার্থিতা বাতিল, স্বতন্ত্র প্রার্থিতায় ১% ভোটারের সমর্থন তালিকার শর্ত বাতিল, জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১০ হাজার টাকা করা, স্থানীয় ও সংসদ নির্বাচনে স্বপদে থেকে নির্বাচন করায় অযোগ্যতা বিধান, পাবলিক ও বেসরকারি থেকে অবসরের পর ভোটে অংশ নেওয়ার শর্ত শিথিল করা, প্রতীক বরাদ্দের দিনই জোটভুক্তদের প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার সুযোগ রাখা ও নির্বাচন আর্কাইভ স্থাপন করা।