সংসদ ও দলে নারীর বিধান বাতিল চায় খেলাফত আন্দোলন

ইসির সংলাপে রাজনৈতিক দলের কমিটিতে নারী রাখার বিধান বাতিল এবং ইসলাম বিদ্বেষীদের নির্বাচনে অযোগ্য করাসহ ৩৮টি সুপারিশ করেছে ইসলামী দল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2017, 01:47 PM
Updated : 2 Oct 2017, 03:02 PM

জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বিলোপের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। রাজনৈতিক দলের সব স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব রাখার বিধানটিও বাতিল চায় ইসলামী দলটি।

সোমবার দলটির আমিরে শরিয়ত (চেয়ারম্যান)  হাফেজ মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ’র নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা কমিশনের সঙ্গে সংলাপে ৩৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরে।

সংসদে নারীদের জন্য আলাদা আসন সংরক্ষণ করাকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলছে খেলাফত।

সুপারিশের ব্যাখ্যায় বলা হয়, “যেখানে মহিলাদের সরাসরি সব নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে সেখানে সিলেকশনের মাধ্যমে মহিলাদের জন্য সংসদে পৃথক আসন সংরক্ষণের যৌক্তিকতা নেই, বরং বৈষম্যমূলক। অতএব, সংরক্ষিত মহিলা আসন বিলুপ্ত করা হোক।”

সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন সব সময়ইছিল। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ২০২০ সালের মধ্যে দলের সব স্তরের ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন শর্ত শিথিলের বিষয়ে দলটির সুপারিশ হচ্ছে, “দলের সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বাধ্যতামূলক ধারাটি বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি কোরআন-সুন্নাহর সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো শর্তারোপ করা যাবে না।”

অপরাধীদের ভোটে অযোগ্য ঘোষণার সুপারিশে বলা হয়, ঋণখেলাপির মতো ইসলাম বিদ্বেষী, ধর্মদ্রোহী নাস্তিক, চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।

‘ধর্মবিদ্বেষী, নাস্তিক্যবাদী’ কর্মকাণ্ড প্রকাশ পেলে তাদের সদস্য পদ বাতিলের বিধানের সুপারিশও করেছে ইসলামী দলটি।

সংলাপ শেষে খেলাফত নেতা শাহ আতাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, “বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য জানুয়ারির নির্বাচনের কারণে রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো নিরপেক্ষ সরকার গঠন অপরিহার্য।

“তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল এখন সময়ের দাবি। সেই সঙ্গে সংসদ ভেঙে নির্বাচন ও ভোটে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে মোতায়েন করতে হবে।”

এছাড়া ইভিএম ব্যবহার না করা, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীদের পুনরায় ভোট করা, নির্বাচনী ব্যয় ১০ লাখ টাকা করা, প্রবাসীদের ভোটার করা, ভোটের সময় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে রাখার সুপারিশও করেছে দলটি।