হাসিনা বিশ্ব মানবতার বাতিঘর: কাদের

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব মানবতার ‘বাতিঘরে’ হয়ে উঠেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2017, 01:28 PM
Updated : 28 Sept 2017, 02:57 PM

শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের রক্তদান ও মিলাদ মাহফিলে তিনি একথা বলেনl

ওবায়দুল কাদের বলেন, “শেখ হাসিনা আজ বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত। তিনি মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রমাণ দিয়েছেন, তিনি বিশ্ব মানবতার বাতিঘর, লাইট হাউজ অব ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি।”

শেখ হাসিনা রাজনীতিকের পথ পেরিয়ে ‘রাষ্ট্রনায়ক’ হয়ে উঠেছেন মন্তব্য করে তার দলের নেতা কাদের বলেন, “একজন রাজনীতিক একটি নির্বাচনের পর আরেকটি নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করেl আর একজন রাষ্ট্রনায়ক পরবর্তী জেনারেশন (প্রজন্ম) নিয়ে চিন্তা করেl শেখ হাসিনা পরবর্তী জেনারেশন নিয়ে চিন্তা করেন।

শেখ হাসিনার জন্মদিনে বৃহস্পতিবার গণভবনে মিলাদ মাহফিলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। ছবি: পিআইডি

“রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি জাতিসংঘে যে ৫ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন, সারা বিশ্বে তা প্রশংসা পেয়েছে, জাতিসংঘ তা গ্রহণ করেছে। চীন-রাশিয়া এখন সহানুভূতি দেখাচ্ছে। আশা করি, নিরাপত্তা পরিষদের আজকের বৈঠকে চীন ও রাশিয়া সমর্থন দিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাশ করবে। এটা গোটা বাঙালির মনের কথা।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমাদের নেত্রী তার জন্মদিনে কেক কেটে উৎসব না করতে নির্দেশ দিয়েছেন। উৎসবে যে অর্থ ব্যয় হত, তার সমপরিমাণ অর্থ আমরা রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য পাঠাব।”

যুবলীগের মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা বক্তব্য দেন।

পরে রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বন্যাপীড়িত অসহায় দরদ্রিদের মাঝে রিকশা ও ভ্যান বিতরণ করেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি এসব রিকশা ও ভ্যান দেয়।

প্রধানমন্ত্রীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আজিমপুর এতিমখানায় খাবার বিতরণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম। ছবি: পিআইডি

সেখানে ওবায়দুল কাদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালনের জন্য আমাদের তৃণমূল পর্যন্ত আয়োজন ছিল। এটাতে আনন্দ উৎসব করার ইচ্ছা ছিল। নেত্রীর সাথে এ বিষয়ে আমরা কথা বলতে গেলে তিনি আমাদের বলেছেন, জন্মদিনে আনন্দ উৎসব না করতে। এসময় নেত্রীর পাশে থাকা শেখ রেহানাও বলেছেন, কেক কাটার কোনো উৎসব হবে না।

“তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন, জন্মদিনের উৎসবে যে খরচ হবে, তার সমুদয় অর্থ বিপন্ন মানবতার সাহায্যে রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরণ করবে।”

১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করা শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার ৭০ বছর পূর্ণ করলেন।

এই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, মারুফা আক্তার পপি উপস্থিত ছিলেন।

গণভবনে মিলাদ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মদিনে গণভবনে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিনসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং গণভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা মোনাজাতে অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

সোবাহানবাগ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মো. লিয়াকত হোসাইন মোনাজাত পরিচালনা করেন।