বর্তমান সঙ্কটের জন্য সরকারের চালের মজুদ কম থাকাকে মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি বলেছেন, এখন সরবরাহ বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, “দেশে এখন চালের দাম বাড়ছে কেন? এটা হওয়ার কারণ হল ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাইয়ের ফারাক, প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ নাই।”
বাংলাদেশে সব সময় কমপক্ষে ১০ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ রাখার পক্ষপাতি চারদলীয় জোট সরকার আমলের খাদ্যমন্ত্রী নোমান।
“সেখানে আজকে আমাদের ২ লাখ ১৩ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য আছে। এখানে সরকারের পক্ষ থেকে যে মজুদ থাকার কথা ছিল সেই মজুদ নেই। এটার কারণে চালের দাম বেড়েছে।”
মজুদ যে ফুরিয়ে যাচ্ছে, সেই হিসাব না করার জন্য সরকারকে দায়ী করেন নোমান।
“বাংলাদেশে কোনো সময়ে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। শূন্য হয়ে গেছে গোলা।”
বেসরকারি আমদানি কমে যাওয়া এবং ক্রয় সফল না হওয়ার জন্য সরকারের নীতিকে দায়ী করেন তিনি।
“মিল মালিকেরা সরকারি মূল্যে কেন চাল দেবে, যদি তারা বেশি দামে বিক্রি করতে পারে। এটা ওপেন মার্কেটের যুগ। সেজন্য ৩০/৩২ টাকা দিয়ে সরকারের যে প্রচেষ্টা ছিল চাল কেনার জন্য, সেখানে তারা ব্যর্থ হয়েছে।”
চালের মজুত তলানিতে ঠেকার পর আমদানি বাড়াতে শুল্ক ২ শতাংশে নামিয়ে এনেছে সরকার।
বর্তমান অবস্থায় আমদানি শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনার পরামর্শ দেন নোমান।
“এমনকি সীমান্ত এলাকাতে যেখানে যেখানে সীমান্ত আছে, তা যদি খুলে দেওয়া যায় তাহলে সরবরাহ বাড়বে।”
সরকার চালের বাজারে অস্থিরতার জন্য ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দায়ী করছে; তবে সরবরাহ বাড়িয়েই এই কারসাজি ভেস্তে দেওয়া সম্ভব বলে নোমানের মত।
“সরবরাহ যখন বাড়বে, তখন যারা স্টক রেখে লাভবান হতে চায়,তারা সেই জায়গা থেকে সরে আসবে এবং মূল্য স্বাভাবিকভাবেই কমতে শুরু করবে।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের উদ্যোগে ‘চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্যের ঊধর্বগতি ও রোহিঙ্গা সমস্য সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নোমান।
কর্মজীবী দলের সভাপতি মো. লিটনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সরদারের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, কেন্দ্রীয় নেতা গৌতম চক্রবর্তী,আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, অপর্ণা রায়, ইউনুস মৃধা, নবী উল্লাহ নবী বক্তব্য রাখেন।