এর ফলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে থাকা এ মামলার কার্যক্রম চলতে আর কোনো আইনি বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী।
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা একটি রিট আবেদন দুই বছর আগে হাই কোর্টে খারিজ হয়ে যায়। ওই রায়ের বিরুদ্ধেই আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি।
ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ সোমবার তা খারিজ করে দেয়।
আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন এজে মোহাম্মদ আলী ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। অন্যদিকে মামলার বাদী দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে মামলার এজাহারে আসামি করা হয়।
মামলা হওয়ার পরদিনই খালেদা ও কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
সেখানে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।
চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম শামসুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া মতিউর রহমান নিজামীকেও এ মামলার অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়।
এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদার রিট আবেদনে আট বছর আগে রুল ও স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সে সময় জারি করা রুল খারিজ করে ২০১৫ সালের ৫ অগাস্ট রায় দেয় বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের হাই কোর্ট বেঞ্চ।
মামলার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে আদেশের অনুলিপি বিচারিক আদালতে পৌঁছার দুই মাসের মধ্যে খালেদা জিয়াকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় ওই রায়ে।
গত বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টের পূর্নাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে ৫ এপ্রিল বিচারিক আদালতে আত্নসমর্পণ করে জামিন নেন বিএনপিনেত্রী।
এরপর ১০ মে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন তিনি যা সোমবার খারিজ হয়ে গেল।