খালেদার জন্মদিনে এবার কর্মসূচি নেই বিএনপির

চিকিৎসার জন্য লন্ডনে থাকায় এবার খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপনের কোনো কর্মসূচি রাখেনি বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 August 2017, 01:21 PM
Updated : 14 August 2017, 01:21 PM

বিএনপি চেয়ারপারসন ১৫ অগাস্ট তার জন্মদিন পালন করেন। তার আরও জন্ম তারিখের হদিস মেলায় বঙ্গবন্ধু হত্যার দিনে তার জন্মদিন উদযাপনের সমালোচনা রয়েছে।

প্রায় প্রতি বছর জন্মদিনে বিএনপি কার্যালয়ে কেক কাটা হলেও সোমবার সেই রকম কোনো প্রস্তুতি দেখা যায়নি।

জানতে চাইলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ম্যাডাম চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আছেন। এজন্য ম্যাডামের জন্মদিনে বিএনপির কোনো কর্মসূচি নেই।”

বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলো চেয়ারপারসনের সুস্থতা কামনায় মঙ্গলবার দোয়া মাহফিল করতে পারে বলে জানান তিনি।

লন্ডনে ছেলে তারেক রহমানের বাড়িতে আছেন খালেদা। গত ৮ আগস্ট পূর্ব লন্ডনের মুরফিন্ড চক্ষু হাসপাতালে তার ডান চোখের অস্ত্রোপচার হয়।

রিজভী বলেন, “ম্যাডামের চোখের ব্যান্ডেজ এখনও খোলা হয়নি। ২/৩ দিনের মধ্যে ব্যান্ডেজ খোলা হবে। তিনি চিকিৎসকদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সুস্থ আছেন।”

২০১৫ সালে জন্মদিন উদযাপন করলেও গত বছর বন্যা, গুলশান হামলা, গুম-খুনকে কারণ দেখিয়ে কেক কাটার কর্মসূচি বাতিল করেছিলেন খালেদা।

বিএনপির ভাষ্য অনুযায়ী, খালেদা জিয়া মঙ্গলবার ৭৩  বছরে পা রাখছেন।

গত দুই যুগ ধরে ১৫ অগাস্ট তিনি জন্মদিন উদযাপন করছেন। তার আরও কয়েকটি জন্মদিনের হদিসের পাশাপাশি জন্মসাল নিয়েও দুই রকম তথ্য পাওয়া যায়।  

খালেদা জিয়ার জন্ম ১৯৪৬ সালে বলে তার নতুন করা পাসপোর্টে লেখা রয়েছে। বাংলাপিডিয়াসহ খালেদা জিয়ার জীবনীর উপর রচিত কয়েকটি গ্রন্থে তার জন্ম বছর ১৯৪৫ সাল দেখানো হয়েছে।

খালেদার বাবা এস্কান্দার মজুমদারের বাড়ি ফেনী হলেও তিনি দিনাজপুরে ঠিকানা নিয়েছিলেন। খালেদার জন্মও সেখানে। তার মায়ের নাম তৈয়বা মজুমদার।

সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ১৯৬০ সালে খালেদার বিয়ে হয়। পঁচাত্তরে পটপরিবর্তনের পর প্রথমে সামরিক আইন প্রশাসক এবং পরে রাষ্ট্রপতি হন জিয়া।

১৯৮১ সালে ৩০ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় জিয়া নিহত হলে রাজনীতিতে পা রাখেন খালেদা। প্রথমে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এবং তিন বছর পর চেয়ারপারসন হন তিনি।

এরশাদবিরোধী আন্দোলনে খালেদা জিয়া বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেওয়া দল’ বিএনপির জনভিত্তি তৈরি করে দেন খালেদাই।

১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হলে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের পর কয়েক দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট জয়ী হলে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের নির্বাচনে হারের পর সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর এখন সংসদের বাইরে থাকলেও রাজনীতিতে তার গুরুত্ব কমতে দেখা যায়নি।