তিনি বলছেন, “এটা দেশের জন্য হবে ভয়ঙ্কর ও ভয়াবহ। এর পরিণতি হবে, এর ফলে আপনাদের পতন আরও ত্বরান্বিত হবে বলে আমি মনে করি।”
বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফেরাতে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার পূর্ণাঙ্গ রায় ১ অগাস্ট প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সমালোচনা করছেন মন্ত্রীরা।
মন্ত্রী-এমপিদের এই প্রতিক্রিয়াকে ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে দেখছেন সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ।
রোববার বিকালে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আমি বলতে চাই, এই যুদ্ধে আপনাদের পরাজয় ঘটবে, এই যুদ্ধে জনগণের জয় ঘটবে।”
মন্ত্রীদের বক্তব্যের সমালোচনা করে মওদুদ বলেন, “একেক মন্ত্রী একেক কথা বলছেন। আমি অবাক হয়ে যাই যে, কেউ কেউ প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ পর্যন্ত চাচ্ছেন। এমন বক্তব্য দিচ্ছেন যেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।
“মন্ত্রীদের বক্তব্য শুনে মনে হয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। তারা জনমত সৃষ্টি করছেন, সারা বাংলাদেশে কর্মসূচি দিচ্ছেন। কীসের জন্য?”
বিচার বিভাগকে অবমূল্যায়নের ফল ভালো হবে না বলে সতর্ক করে তিনি বলেন, “যারাই বিচার বিভাগের ওপর হাত দিয়েছে, তাদেরই হাত পুড়ে গেছে। সংসদ চলে যাবে, সরকার চলে যাবে, রাজনৈতিক প্রশাসনও চলে যাবে, কিন্তু বিচার বিভাগ থেকে যাবে।”
আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক সরকারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন অভিযোগ তার পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন সময় নিহত বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সহায়তা উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘অর্পণ বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন।
অনুষ্ঠানে নিহত চট্টগ্রামের ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরু, সাতক্ষীরার আজহার মিয়া, মাগুরার মারুফ সরদার ও নোয়াখালীর মো. লিটনের পরিবার এবং পঙ্গু হয়ে যাওয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শাহ আলমকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়।
আয়োজক সংগঠনের সভানেত্রী বীথিকা বিনতে হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মেরাজ আজিমের পরিচালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে যুব দলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্র দলের সেলিনা সুলতানা নিশিতা, ‘অর্পণ বাংলাদেশ’র সৈয়দ সোহেল, শ ই রাহী, কাজী জিয়াউদ্দিন বাসেত, মো. ইলিয়াস, শৈবাল হোসেন, রমিজ রাসেল বক্তব্য দেন।