“আর ডিফেনসিভে বসে থাকলে চলবে না, এখন থেকে এটাকিংয়ে স্টাইকারের ভূমিকায় যেতে হবে,” বলেছেন তিনি।
সিলেটে হামলার প্রতিবাদে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি সোহাগ একথা বলেন।
তিনি বলেন, “শুধু স্লোগান-মিছিল-সমাবেশ নয়, শিবিরকে প্রতিহত করতে ‘অ্যাটাকিংয়ে’ যেতে হবে ছাত্রলীগের কর্মীদের। আপনারা খুঁজুন শিবির কোথায় আছে, তারপর তাদের প্রতিহত করুন।”
সোমবার সিলেটের জালালাবাদে হামলায় গুরুতর আহত হন ছাত্রলীগের কর্মী শাহীন আহমদ ও আবুল কালাম আসিফ। শাহীন সিলেটের মদন মোহন কলেজ এবং আসিফ জালালাবাদ কলেজের ছাত্র।
এই হামলায় নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে আসছে শিবির। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রশিবিরের ‘দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই’। ছাত্রলীগের ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দলে’ এই ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও লক্ষ্মীপুরে শিবিরকে প্রতিহত করা শুরু হয়েছে জানিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ বলেন, “এই শোকের মাসে (অগাস্ট) শোককে শক্তিতে পরিণত করে জামায়াত-শিবিরকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে।
“জেলা, উপজেলা, পাড়া-মহল্লা ও ইউনিয়নের কোথাও জামায়াত-শিবির থাকতে পারবে না। তাদের খুঁজে খুঁজে দমন করতে হবে এবং দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।”
হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।
“এর মধ্যে গ্রেপ্তারে না হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জামায়াত-শিবিরকে সমুচিৎ জবাব দেবে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানে কীভাবে জবাব দিতে হয়।”
সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী এনায়েত, ইমতিয়াজ বুলবুল বাপ্পী, আরিফুর রহমান লিমন, মেহদী হাসান রনি, আদিত্য নন্দী, মশিউর রহমান শরীফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক রাকিব হোসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশের আগে বিশ্ববিদ্যায়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। মিছিলটি ক্যাম্পাস ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে সমাবেশ করে।