দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “কোনো আলোচনা না করে এই রোডম্যাপ দিয়ে তো সমস্যার সমাধান হবে না।
“রোডটা তো থাকতে হবে। এখন পর্যন্ত আমরা রোড দেখতে পারছি না। সুতরাং ম্যাপ তো পরের প্রশ্ন।”
একাদশ সংসদ নির্বাচনের দেড় বছর আগে রোববার ইসির ‘রোডম্যাপ’ ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, “অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটা সহায়ক সরকার প্রয়োজন, সেই সহায়ক সরকার গঠনের ব্যাপারে আলোচনা বড় প্রয়োজন এই মুহূর্তে।”
সংবাদ সম্মেলন করে একাদশ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করে (রোডম্যাপ) সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ভোট প্রভাবমুক্ত রাখতে পারবেন বলে তারা আশাবাদী।
দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পরে তারা আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবেন।
“এটা যেহেতু অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটা বিষয়। আমরা সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলব, আমাদের চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা পরে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাব।”
নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রিত্বে রেখে ভোট করতে অনীহ বিএনপি। অন্যদিকে বিএনপির দাবিতে নতি স্বীকারে নারাজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
ফখরুল বলেন, “প্রধান সঙ্কটটা হচ্ছে যে, নির্বাচনটা কীভাবে হবে? নির্বাচনের সময় সরকার কোন জায়গায় থাকবে, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কী হবে?
“যে কথা আমরা বার বার বলে আসছি, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটা সহায়ক সরকার প্রয়োজন, সেই সহায়ক সরকার গঠনের ব্যাপারে আলোচনা এই মুহূর্তে বড় প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।”
প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের ইসির আশাবাদের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “উদ্দেশ্য খুব ভালো, সবাই তা-ই বলে। বর্তমান সরকারও বলছে যে আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চাই, সহায়তা করতে চাই। তারপরও দেখতে পারছেন যে কী অবস্থা দেশের মধ্যে আছে?
“আমরা একটা সভা করার অনুমতি পাই না। আমাদের দেশনেত্রী কালকে বিদেশে গেলেন, আমাদের সিনিয়র নেতাকে রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হল। দেশে নির্বাচনের আদৌও কোনো পরিবেশ আছে কি না, সেটাও তো সবার আগে দেখতে হবে?”
এই অবস্থায় ইসির কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই ‘রোডম্যাপ’ ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপি মহাসচিব।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির সংলাপের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা বলেছি, গণতান্ত্রিক যতগুলো পদ্ধতি আছে এবং নিয়মতান্ত্রিক যতগুলো পদ্ধতি আছে, আমরা সবগুলো ইক্সস্ট করতে চাই। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যেতে চাই।
“এটা নির্ভর করবে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের সদিচ্ছার ওপরে তারা আমাদেরকে যেতে দিতে চায় কি না?”