ওটা ছিল রসিকতা: মান্না

এক সময় আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার জন্য নিজেকে ‘বেকুব’ বলার এক দিন পর সুর পাল্টে মাহমুদুর রহমান মান্না বলছেন, ওটা ছিল ‘রসিকতা’।

সোশাল মিডিয়া ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2017, 09:08 AM
Updated : 17 July 2017, 02:54 AM

রোববার ফেইসবুকে নিজের বক্তব্যের এই ব্যাখ্য দিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্না।  

আগের দিন জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে মান্না বলেন, “নৌকায় (আওয়ামী লীগ) তো আমিও ছিলাম। ড. কামাল নৌকা থেকে নেমেছেন, সেই নৌকায় আমিও চড়েছি। বেকুব না হলে করে এরকম!”

স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের বিরোধিতায় জন্ম নেওয়া জাসদে ছিলেন মান্না। জাসদ ভাঙার পর বাসদে যোগ দেন তিনি, দুই বার ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন।

নব্বইয়ের পর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে মান্না সাংগঠনিক সম্পাদকও হন। ওই সময়ই আওয়ামী লীগ ছেড়েছিলেন দলটির দীর্ঘদিনের নেতা কামাল হোসেন। আর মান্না ২০০৭-০৮ সালের জরুরি অবস্থার সময় সংস্কারপন্থি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের পদ হারান।

গত ১৩ জুলাই রাতে আ স ম রবের বাড়িতে গিয়ে পুলিশের কাছে হেনস্তা হওয়ার প্রেক্ষাপটে শনিবারের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন মান্না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ‘স্বরূপ’ বুঝতে তার বেশি সময় লাগেনি।

এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর আসার পর রোববার সকালে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগ বিরোধিতার জন্য আলোচিত দলটির সাবেক এই নেতা।

 

মান্না লিখেছেন, গোলটেবিল আলোচনায় গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ঢাকা-চট্টগ্রামের রাস্তা পানিতে ডুবে থাকার প্রসঙ্গ তুললে তিনি রসিকতা করে বলেছিলেন, ‘এখন নৌকাই ভরসা’। তিনিও যে এক সময় নৌকা প্রতীকের দল আওয়ামী লীগে ছিলেন, সে কথা সুব্রত চৌধুরী মনে করিয়ে দিলে ড. কামালের প্রসঙ্গ আসে। তখনই তিনি রসিকতা করে নিজেকে বেকুব বলেছিলেন।   

“এটা রসিকতার জবাবে একটা রসিকতা। আ. লীগে যোগ দেওয়াটা একটা বেকুবি ছিল- তা আমি বোঝাইনি। আ. লীগে যোগ দেওয়াই ভুল ছিল- আমি এখনো তা মনে করি না। কিছু পাওয়ার ধান্দায় আমি তো ওখানে যোগ দিইনি।”

আর প্রায় তিন দশক আওয়ামী লীগে থেকে ‘ওই দলের নেতার কাছ থেকে’ অনেক কিছু শিখেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন মান্না।

শেখ হাসিনার বর্তমান শাসনামলে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আসামি হয়ে বছরখানেক কারাগারে কাটিয়ে আসা মান্না শনিবারের আলোচনা সভাতেও আওয়ামী লীগের কড়া সমালোচনা করেন।