শুল্ক বৃদ্ধি: সরকারের ভাবমূর্তি নিয়ে বিরোধী দলের দুশ্চিন্তা

বাজেটে ব্যাংক হিসাবে বর্ধিত আবগারি শুল্ক আরোপের প্রস্তাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলীয় এক সাংসদ।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2017, 07:38 AM
Updated : 6 June 2017, 07:54 AM

মঙ্গলবার সংসদে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারের শরিক জাতীয় পার্টির হুইপ নুরুল ইসলাম ওমর শুল্ক আরোপ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, “একলাখ টাকা রাখলে ৫০০ টাকা থেকে আবগারি শুল্ক ৮০০ টাকা করেছেন। একলাখ টাকা একমাস রাখলে পুরো টাকা পাওয়া যাবে না- এটা যেভাবে প্রচার হয়েছে।

“এই শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হলেও সরকারের যে ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে তা পূরণ হবে কি না।”

২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বছরের যে কোনো সময় ব্যাংক হিসাবে এক লাখ টাকার বেশি স্থিতি থাকলে আবগারি শুল্ক বিদ্যমান ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০০ টাকা আরোপ করা হয়েছে।

১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ টাকার বদলে ২ হাজার ৫০০ টাকা, ১ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ৭ হাজার ৫০০ টাকার বদলে ১২ হাজার টাকা এবং ৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেনে ১৫ হাজার টাকার বদলে আবগারি শুল্ক ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।

সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরাও আবগারি শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে যোক্তিক মনে করেছেন না। তারা বলছেন, লেনদেনের অবৈধ মাধ্যম উৎসাহিত হবে।

সমালোচনার মুখে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ব্যাংকে যাদের এক লাখ টাকা রাখার সামর্থ্য আছে তারা সম্পদশালী। তারা বাড়তি ভারটা বহন করতে পারবেন, সমস্যা হবে না।

মুহিতের বক্তব্যের সমালোচনা করে এই সাংসদ বলেন, “অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এক লাখ টাকা যাদের আছে তারা ধনী। এই বক্তব্য কতটুকু গ্রহণযোগ্য, সরকারের জন্য কতটুকু লাভ বয়ে আনবে দেখা দরকার।

“অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বের সব ব্যাংকে চুরি হয়।কিন্তু আমাদের মতো সাগর চুরি হয় কীনা।“

জাতীয় পার্টির আরেক সাংসদ ফখরুল ইমাম বলেন, “নানা ভৌতিক প্রকল্পে এখনতো মুড়িমুড়কির মতো টাকা বরাদ্দ হয়। বলা হয়, টাকা লাগে দেবে গৌরী সেন। প্রশ্ন করলে বলা হয়, ওরা উন্নয়ন চায় না। মাথাপিছু আয় নিয়ে আমরা ভুলের স্বর্গে বাস করি। এখন যদি বিল গেটসকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেন তাহলে এটা অনেক বেড়ে যাবে।

“মেগা প্রকল্পগুলো মেগা জটে পড়েছে। আন্তরিকতার অভাব না থাকলেও দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুই বছরেও এসব প্রকল্প শেষ হবে বলে মনে হয় না। পদ্মা সেতু ছাড়া অন্য প্রকল্পগুলো চ্যালেঞ্জের মুখে। ”