গত মাসে এই চট্টগ্রামে দলীয় এক সভায় ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে শুক্রবার নোমান বলেন, “ওবায়দুল কাদের উপলব্ধি করতে পেরেছেন, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের ভরাডুবি হবে। আর দুর্নীতির মাধ্যমে যারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে, তাদের পালিয়ে বেড়াতে হবে।”
ওই প্রতিনিধি সভায় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে টাকা-পয়সা নিয়ে পালাতে হবে। তা কি ভাবেন না? দল যদি ক্ষমতায় না থাকে, এখন যে টাকা- পয়সা রোজগার করছেন, তখন এই টাকা নিয়ে পালিয়ে বেড়াতে হবে। এটা ভাবতে হবে।”
তবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নোমান বলছেন, তার দল প্রতিহিংসার রাজনীতিতে ‘বিশ্বাস করে না’।
“বিএনপি প্রতিযোগিতার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।”
“আপনারা সহায়ক সরকারের দাবি মেনে নিয়ে নির্বাচন দিন। জনগণ যদি আমাদের নির্বাচিত করে আমরা আপনাদের মতো প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে কিছু করব না। আইনকে স্বাভাবিক গতিতে চলতে দেব, আপনাদের মতো প্রভাবিত করব না।”
গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন অর্থহীন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ উন্নয়নের স্বপ্ন দেখিয়ে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারকে কফিনবন্দি করে ক্ষমতাকে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্র করছে।
“বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে আওয়ামী লীগ নেতারা বিদেশে পাচার করেছে। দেশে দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসব চলছে।”
নোমান বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ১০ টাকা কেজিতে চাল দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিল। আর এখন মোটা চালের কেজি ৫০টাকা।
দেশে ‘নীরব দুর্ভিক্ষ’ চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা ছাড়া সাধারণ মানুষ ৫০ টাকা কেজিতে চাল কিনে দুবেলা খেতে পারছে না। হাওর অঞ্চলে মানবিক বিপর্যয় চলছে আর সরকার নিরব ভূমিকা পালন করছে।”
নোমান বলেন, বিএনপি ঘোষিত ভিশন-২০৩০ আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম সোপান। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এর মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করবে।
সরাইপাড়া ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক হাজী বাবুল হকের সভাপতিত্বে ও নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, শ্রমিক দল নেতা শেখ নুরুল্লাহ বাহার, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন দিপ্তী প্রমুখ।