সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি বাকশালী দৃষ্টিভঙ্গি: বিএনপি

বিদেশ ভ্রমণে সাংবাদিকদের ওপর নজরদারির নির্দেশনার সমালোচনায় বিএনপি বলেছে, এটা ‘একদলীয় সরকারের বাকশালী আচরণের’ বহিঃপ্রকাশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 May 2017, 09:51 AM
Updated : 19 May 2017, 11:32 AM

শুক্রবার ঢাকায় এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “সাংবাদিক ও গণমাধ্যম গণতন্ত্রের একটি মূল ভিত্তি। তাদের স্বাধীনতাকে আজকে বাংলাদেশে সঙ্কুচিত করা হয়েছে। আজকে সত্য উচ্চারণ বন্ধ করেছে, মিডিয়ার ওপর স্বঘোষিত নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে। এখন তাদের চলাচলের ওপরে নজদারি করছে। এটা কোনো গণতান্ত্রিক সরকার করে না।”

বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা ‘দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো তৎপরতায় লিপ্ত আছে কি না’ সে বিষয়ে নজরদারির নির্দেশ দিয়ে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে একটি সার্কুলার পাঠানোর খবর বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে আসে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ওই সার্কুলারে কী লেখা হয়েছে তা তিনি দেখবেন। 

শুক্রবার স্বাধীনতা ফোরামের মানববন্ধনে ওই সার্কুলারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “নিষ্ঠুর, ঘাতক, বাকশাল, একদলীয় সরকারের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা।”

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

রিজভীর দাবি, সরকার বিএনপিকে ‘ভয় পায়’ বলেই তাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

“তারা আতঙ্কে আছে। কখন কোন ফাঁক দিয়ে বিএনপি বেরিয়ে পড়ে, বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিশাল ঢল নামে- এই আতঙ্ক। এতো হত্যা করছেন, এতো গুম করছেন, এতো কারাগারে নিচ্ছেন, এরপরও আতঙ্ক কাটছে না।”

অন্যায় বা অবৈধ কর্মকাণ্ড ‘কখনো চাপা দেওয়া যায় না’ বলেও সরকারকে সতর্ক করেন রিজভী।

“আজকে দেশে দুঃশাসনের মধ্যেও কেউ কেউ প্রতিবাদ করছেন, স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে কেউ কেউ প্রতিবাদ করছেন। যেমন প্রধান বিচারপতি করছেন। তিনি বলছেন যে, শাসন বিভাগ বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করছে। প্রধান বিচারপতি যখন এই হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তখন তাদের গায়ে জ্বালা ধরে যায়।”

বরকত উল্লাহ বুলু, খায়রুল কবির খোকনসহ বিএনপির কারাবন্দি নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।

সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, ফরিদা ইয়াসমীন বক্তব্য দেন।