শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রামে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নগর শাখার কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ছাড়া আর বিএনপিকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন এদেশে হবে না। জনগণকে বাইরে রেখে এদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না।”
আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কথার লড়াইয়ের মধ্যে একথা বললেন আমীর খসরু।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভয় না দেখিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসার চেষ্টা করুন। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে তার নিবন্ধন বাতিল হবে এ ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।
এর জবাবে শুক্রবার নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিবন্ধন টিকিয়ে রাখার স্বার্থে শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে আসবে। রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। এ ব্যাপারে সরকারতো তাদেরকে সুযোগ বিতরণ করবে না।
নগরীর নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে কর্মী সমাবেশে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী দিনে জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত সরকার, বৈধ সরকার ও বৈধ সংসদ গঠন করবে।
“আর জনগণকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচনের চিন্তা করলে তা প্রতিরোধ করা হবে।”
প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়ে ‘বন্ধুত্ব পাননি, আতিথেয়তা’ পেয়েছেন মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, শুধু এই আতিথেয়তা নিয়ে তিনি ভারতের কাছে ‘দেশের স্বার্থ বিলিয়ে দিয়েছেন’।
“দেশে এসে তিনি নিজেও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন ভারত থেকে কিছু আনতে পারেননি। শুধু তাই নয়, দেশের স্বকীয়তা বিসর্জন দিয়ে সামরিক চুক্তি করেছেন। অথচ তিস্তার পানিসহ অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারেননি।”
আমীর খসরু বলেন, “তিনি (প্রধানমন্ত্র্রী) এমন চুক্তি করেছেন যার মাধ্যমে প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর আমরা প্রত্যেক ব্যাপারে ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ব।”
নগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনির সভাপতিত্বে সমাবেশে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাস।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফাওয়াজ হোসেন শুভ, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান প্রমুখ বক্তব্য দেন।