সেই নির্বাচনে যাব, যাকে নির্বাচন বলে: নজরুল

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি আগামীতে সব দলের অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হলে তাতে অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2017, 03:30 PM
Updated : 21 April 2017, 03:35 PM

শুক্রবার বিকালে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “বিএনপি নির্বাচনে যেতেই চায়; রাজনৈতিক দল হিসেবে, গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমরা নির্বাচনের যাওয়ারই দল। সেই নির্বাচন হতে হবে, যেটাকে নির্বাচন বলে।

“নির্বাচন মানে হল সেটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে, সব দল অংশগ্রহণ করবে, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে। ভোটাররা যাকে ভোট দেবে, তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে এবং সংখ্যাগরিষ্টতা যারা পাবে, তারা সরকার গঠন করবে- এটা হলো নির্বাচন।”

নির্বাচনের বিষয়ে নিজেদের চাওয়ার কথা জানিয়ে এমনটি হলে সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে বলে জানান নজরুল।

তিনি বলেন, “কিন্তু নির্বাচনের নামে যদি খেলাধুলা করা হয়, ইয়ার্কিং করা হয়, রসিকতা করা হয়, তামাশা করা হয়, প্রহসন করা হয়, সেটা নির্বাচন না। ওই নির্বাচনে না যাওয়া সঠিক ও সমাচীন হবে।”

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী হোটেল শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি মিজান হাওলাদার স্মরণে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী হোটেল শ্রমিক দলের ঢাকা মহানগর শাখা।

এতে সরকারের বিরুদ্ধে নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ আনেন বিএনপি নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, “সরকারের নানা চাপের মধ্যেও মানুষের সমর্থন কুমিল্লার সিটি নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে। এই যে মানুষের সমর্থন…, কিন্তু সেই সমর্থন প্রকাশ না করতে পারার যে জ্বালা, যত দিন যাচ্ছে তত আরও বাড়ছে এবং সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে আমার সাধারণ ক্ষুদ্র রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই যে, সরকারকে আর নিপীড়ন চালানোর যথেষ্ট সময় দেওয়ার সুযোগ নাই।

“আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি গণতন্ত্রের জন্য, আমরা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছি গণতন্ত্রের জন্য। জনগণের ঐক্য নিয়ে সাহস করে যদি মাঠে নামতে পারি, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারি, তাহলে এই মানসিকভাবে দুর্বল ও জনসমর্থনহীন সরকার আমাদের সাথে বিজয়ী হতে পারবে না, হেরে যাবে। সেই বিজয়ের লড়াইতে অতিদ্রুত আমাদেরকে অংশ নিতে হবে।”

এজন্য শ্রমিক দলকে সংগঠিত হওয়ার আহ্বানও জানান নজরুল।

সরকারের বিরুদ্ধে দমননীতির অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এই যে নিপীড়ন, এই যে অত্যাচার, এই যে অগণতান্ত্রিক আচরণ, এই যে সরকারি নিষ্ঠুতার, এর কারণ একটাই, যারা ক্ষমতায় আসীন তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নন।

“তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নন, তারা জনগণকে জবাবদিহি করতে রাজি নয়। তারা জানেন, জনগণ বিচারের ভার পেলে তাদের শাস্তি দেবে, তাদের বিচার করবে।”

আলোচনা পর্বের পর প্রয়াত মিজান হাওলাদারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

শ্রমিক নেতা ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জাফরুল হাসান, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, মহানগর বিএনপি দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাসিম বক্তব্য রাখেন।