আওয়ামী লীগের জোট শরিক দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বুধবার এক বিবৃতিতে ‘তেঁতুল হুজুর গোষ্ঠী’র বিরুদ্ধে সবাই সোচ্চার হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠককারী হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী ইনুর দলের এই বিবৃতি আসে।
ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সমান স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য অপসারণে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তাদের।
হেফাজতে ইসলাম, আওয়ামী ওলামা লীগসহ কয়েকটি ইসলামী সংগঠন সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল। ওলামা লীগ তাদের এই সংক্রান্ত প্রতিটি বিবৃতিতে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করে আসছে তথ্যমন্ত্রী ইনু ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে।
জাসদের বিবৃতিতে বলা হয়, “তেঁতুল হুজুর গোষ্ঠীর রাজনৈতিক অবস্থান শুধু সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধীই নয়, এই ‘তেঁতুল হুজুর গোষ্ঠী’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, সকল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনবিরোধী অন্ধকারের শক্তি।”
আহমদ শফী নেতৃত্বাধীন হেফাজত ২০১৩ সালে ‘নাস্তিক ব্লগারদের’ শাস্তির দাবিতে ঢাকায় মতিঝিলে সমাবেশ ডেকে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছিল। পরে পুলিশি অভিযানে তাদের তুলে দেওয়া হয়েছিল।
ওই সময় আহমদ শফীর একটি ওয়াজে নারীদের তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা করা হলে তাকে ‘তেঁতুল হুজুর’ নামে ডাকতে থাকেন অনেকে।
এবার ভাস্কর্য অপসারণের দাবি জানিয়ে সেবারের মতো মতিঝিলে জড়ো হুমকি দিয়ে আসছিল হেফাজত।