সিইসি নূরুল হুদাকে ‘সজ্জন’ ব্যক্তি বললেন রিজভী

সিইসির দায়িত্ব নেওয়ার আগ থেকে কে এম নূরুল হুদাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসা বিএনপির সুর নরম হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2017, 11:23 AM
Updated : 27 March 2017, 12:33 PM

সোমবার নূরুল হুদার সঙ্গে সরাসরি কথা বলার পর তাকে ‘সজ্জন ব্যক্তি’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

গত মাসে দায়িত্ব নেওয়ার আগে এই নূরুল হুদাকেই ‘আওয়ামী লীগের মুখপাত্রের মতো’ বলেছিলেন রিজভী। তার দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, সরকারের ‘আজ্ঞাবহ’।

বিএনপির প্রশ্ন তোলার প্রতিক্রিয়ায় সাবেক সচিব নূরুল হুদা বলে আসছেন, তিনি দায়িত্ব পালনে কোনো দলের প্রতি পক্ষপাত দেখাচ্ছেন না।

সিইসি নূরুল হুদার সঙ্গে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে যায় বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল, তার নেতৃত্বে ছিলেন রিজভী।

প্রথম বৈঠকে প্রায় আধা ঘণ্টা বিএনপি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে একান্তে আলোচনা করেন নূরুল হুদা; এসময় অন্য কোনো কমিশনার কিংবা ইসি সচিবও ছিলেন না।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেছিলেন, “সিইসি বলেছেন, কুমিল্লা থেকেই গণতন্ত্র চর্চা শুরু করতে চান। সিইসির বক্তব্যের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।”

সিইসির সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, “সিইসি একজন সজ্জন ব্যক্তি, চাকরি জীবনে সর্বোচ্চ জায়গায় উপনীত হয়েছেন। এ ধরনের একজন মানুষ কখনোই অবান্তর কথা বলবেন না।”

কুমিল্লা সিটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে বিএনপির নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান এ বিএনপি নেতা।

কে এম নূরুল হুদা (ফাইল ছবি)

“তিনি (সিইসি) যে কথাগুলো বলবেন, যে আশ্বাস দেবেন, সেগুলো কার্যকর হবে এবং তা যুক্তিসঙ্গত বলেই আমরা মনে করি। কুমিল্লায় যে অনাচারগুলো হচ্ছে তা বন্ধ করবেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন- এ প্রত্যাশা সিইসির কাছে।”

৩০ মার্চ অনুষ্ঠেয় কুমিল্লা সিটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে তিন দফা দাবি তুলে ধরে বিএনপি প্রতিনিধি দল। এর মধ্যে রয়েছে- নেতা-কর্মীদের হয়রানি বন্ধ, মিছিলে বাধা না দেওয়া, নতুন কোনো মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার না করা।

রিজভী বলেন, “সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে, তাতে স্থানীয় প্রশাসন নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সিইসিকে বলেছি আমরা।”

নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই পরবর্তী সংসদ নির্বাচন হবে। দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি পরবর্তী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কথা বলেনি।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসির ভূমিকা বিএনপির সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে রিজভীর কথায় ইঙ্গিত রয়েছে।

তিনি বলেন, “কুমিল্লা সিটি নির্বাচন বর্তমান ইসির কাছে একটা অগ্নিপরীক্ষা। এ ইসির প্রতি অনেক রাজনৈতিক দলের নানা প্রশ্ন রয়েছে। এ পরীক্ষা পাস করলে রাজনৈতিক দলগুলো ইসির প্রতি আস্থা পাবে।”