বুধবার সকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে ঘেরাও মিছিলের শুরুতেই পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ও জলকামান থেকে পানি ছুড়ে বাম দলগুলোর নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন।
এরপর বিকালে বাম দল দুটির এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হবে বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে।
গ্যাসের দাম না কমানো হলে ১৫ এপ্রিল দেশব্যাপী গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দিয়েছে সিপিবি-বাসদ।
মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশ আন্দোলনকারীদের উপর রায়টকার উঠিয়ে দিতে চেয়েছিল।
পুলিশি হামলায় ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শাহরিয়ার, সুমাইয়া শারমিন সেতু, ফারজানা আখতার, তুলেশ রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নেতা মুক্তা বাড়ৈ, তৈয়ব আলী, রাতুলসহ ৫০ জন আহত হয় বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে এই কর্মসূচিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চাও ছিল।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণার প্রতিবাদে হরতালের পর জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল সিপিবি-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা।
এদিকে বাম দলগুলো সমর্থিত তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আগামী ১৮ মার্চ দেশব্যাপী ‘প্রতিবাদ দিবস ’ পালনের ডাক দিয়েছে।
গ্যাস রপ্তানিমুখী চুক্তি ও ‘সুন্দরবিনাশী প্রকল্প’ বাতিলের দাবিতে এই কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার গভীর সমুদ্রের ১২ নন্বর ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি দেইয়ুর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে সরকার। তার একদিন বাদেই নাগরিক সংগঠনটি কর্মসূচি দিল।
এই চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “বিদেশি কোম্পানির অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি, শুল্ক মওকুফ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধিসহ আরও নানা সুবিধা দিয়ে যে চুক্তি করা হয়েছে, তা আত্মঘাতী ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী। পুরো চুক্তি প্রক্রিয়াটি অস্বচ্ছ।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “বিনা দরপত্রে গোপন সমঝোতার ভিত্তিতে করা এই চুক্তি ভুল নীতি ও দুর্নীতির ফল। এই চুক্তির ফলে পুরো বঙ্গোপসাগরের সম্পদ দেশের মানুষের হাতছাড়া হবে, দেশের উপর আর্থিক বোঝা বাড়বে।”