মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে শ্রমিকরা সড়কে নেমে গাড়ি ভাংচুর শুরু করলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে, যা চলছিল মধ্যরাত পর্যন্তও।
সংঘর্ষের মধ্যে রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে যান আসলামুল হক। গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে এসেও শ্রমিকদের শান্ত করতে ব্যর্থ হন তিনি।
পরে মাজার রোড এলাকায় দাঁড়িয়ে আওয়মী লীগের এই সাংসদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমি নিজে একা গিয়েছিলাম শ্রমিকদের মাঝে। আমি ভেবেছিলাম শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে পাব, সেখানে আমি আমার সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে কথা বলব। কিন্তু শ্রমিক নেতৃবৃন্দ কাউকে পাই নাই। যারা এখানে আছে সব কম বয়সী ছেলে-পেলে।
“আমার কাছে মনে হয়েছে যে, বিষয়টা অন্য কারোর হাতে চলে গেছে। আপনারা জানেন, আমাদের দেশে দীর্ঘদিন যাবৎ যে আগুন সন্ত্রাস চলছে, তাদের কোনো দুরভিসন্ধি আছে কি না, অনুপ্রবেশ করেছে কি না শ্রমিকদের এই হরতালে-আমরা সেই বিষয়টি দেখছি।”
দশম সংসদ নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তি ঘিরে ২০১৫ সালের প্রথম তিন মাস বিএনপির টানা হরতাল-অবরোধে গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপসহ নাশকতার নানা ঘটনায় দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনা নিয়ে বিএনপিকে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের দল’ বলে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
আসলামুল হক শ্রমিক নেতাদের খুঁজে না পাওয়ার কথা জানিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে তাদের এই সহিংস বিক্ষোভ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
অন্যত্থায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মিলে ‘প্রতিকার’ করার ঘোষণা দেন তিনি।
“ভোর হওয়ার সাথে সাথে পরিষ্কার হয়ে যাবে,” বিক্ষোভরত শ্রমিকদের ইঙ্গিত করে বলেন মিরপুর এলাকার এই সাংসদ।