বৃহস্পতিবার ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার এই দিন ঠিক করেন।
ঢাকার বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে বিশেষ জজ আদালতের এই অস্থায়ী এজলাসে খালেদার বিরুদ্ধে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলারও বিচার চলছে।
উচ্চ আদালতে দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাটির রিট পিটিশন শুনানির অপেক্ষায় থাকায় বৃহস্পতিবার অসমাপ্ত বক্তব্য মূলতবি রাখতে সময়ের আবেদন করেন খালেদার আইনজীবীরা।
এর আগে৯ ফেব্রুয়ারি একই কারণে সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিল।
গত ১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সাফাই সাক্ষী দেবেন বলে আদালতকে জানান। এরপর তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনে আংশিক বক্তব্য দিয়ে সময়ের আবেদন করেন।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি জানিয়ে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার সময়ের আবেদন করেন। এতিমখানা ট্রাস্ট মামলায় আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে তা বদলির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া, যা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে বলে সময়ের আবেদনে বলা হয়।
আর দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় ৩২ সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য হাইকোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছে যা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে জানিয়ে সময় চান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে দুর্নীতির দুই মামলাতেই পরবর্তী শুনানির জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন।
এদিন এতিমখানা মামলার আসামি শরফুদ্দিন আহমেদের আইনজীবী রেজাউল করিম সরকার দুই সাক্ষীকে পুনরায় জেরার আবেদন করলে বিচারক তাও মঞ্জুর করেন।
২০১১ সালের ৮ অগাস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
আর এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।