নতুন ইসি: আ. লীগ-বিএনপি সমানে সমান

রাষ্ট্রপতি গঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনে সার্চ কমিটিতে আওয়ামী লীগ প্রস্তাবিত একজন এবং বিএনপি প্রস্তাবিত একজন স্থান পেয়েছেন বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Feb 2017, 06:07 PM
Updated : 6 Feb 2017, 06:22 PM

ইসি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি ছয় সদস‌্যের সার্চ কমিটি গঠন করার পর তারা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে নামের প্রস্তাব চেয়েছিল। তাতে অধিকাংশ দল সাড়াও দেয়।

সেই নামগুলো নিয়ে এবং বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনার পর সোমবার ১০ জনের নামের সুপারিশ রাষ্ট্রপতিকে দেয় সার্চ কমিটি। তার মধ‌্য থেকে পাঁচজনকে নিয়ে নতুন ইসি গঠন করেন রাষ্ট্রপ্রধান মো. আবদুল হামিদ।

সার্চ কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সংবাদ সম্মেলনে এসে সার্চ কমিটি প্রস্তাবিত ১০ জনের নাম পড়ে শোনানোর পর সিইসি এবং চারজন নির্বাচন কমিশনারের নাম ঘোষণা করেন।

সাবেক সচিব কে এম নূরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) করেছেন রাষ্ট্রপতি। নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদৎ হোসেন চৌধুরীকে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া মোট ১২৮টি নাম সার্চ কমিটিতে জমা পড়ে। তার মধ‌্য থেকে ১০ জনকে বাছাই করে সার্চ কমিটি।

পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশনে ‘বড় বড়’ সব দলের প্রস্তাবিত নামই আছে বলে জানান শফিউল।

নতুন কমিশনারদের মধ‌্যে বিচারক কবিতা খানমের নাম ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে এসেছিল বলে জানান তিনি।

সার্চ কমিটির সুপারিশে আসা পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস‌্য আবদুল মান্নানের নাম আওয়ামী লীগ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল। তিনি বাদ পড়েছেন।

বিএনপির প্রস্তাব করা পাঁচটি নাম থেকে দুজন গল্পকার মাহবুব তালুকদার ও অধ‌্যাপক তোফায়েল আহমেদের নাম সার্চ কমিটির ১০ জনের তালিকায় এসেছিল বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান। তার মধ‌্য থেকে মাহবুব তালুকদার পেয়েছেন রাষ্ট্রপতির মনোনয়ন।

সিইসি পদে ২০০৬ সালে অবসরে যাওয়া সচিব নূরুল হুদার সঙ্গে ২০০৮ সালে অবসরে যাওয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারের নামের প্রস্তাব রেখেছিল সার্চ কমিটি। আলী ইমামের নাম গতবারের মতো এবারও বাদ পড়েছে।

সিইসি পদের দুজনের নাম কোন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে এসেছিল, তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে শফিউল বলেন, “এখন আমার মনে আসছে না, তবে বড় দুটো দল (আওয়ামী লীগ, বিএনপি) না। অন্য দল।”

১৯৭৩ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে দীর্ঘদিন ওএসডি থাকার পর ২০০৬ সালে সচিব হিসেবে অবসরে গিয়েছিলেন।

সার্চ কমিটির ১০ জনের তালিকায় অধ‌্যাপক জারিনা রহমান খান ও অধ‌্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর নাম এসেছিল। তারা রাষ্ট্রপতির মনোনয়নে আসেননি।

সার্চ কমিটির চূড়ান্ত সুপারিশে কোন দল কোন কোন নামগুলো প্রস্তাব করেছিল- এ প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল বলেন, “সেটা রেকর্ড চেইক করে বলতে হবে, আমার মেমেরিতে নাই।”

রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে সার্চ কমিটিতে জমা দেওয়া ব্যক্তিদের নির্দলীয় বলেই মনে করছেন শফিউল আলম।

“নাম দিলেও এগুলো কিন্তু নির্দলীয়।”