নারায়ণগঞ্জে উৎসবমুখর প্রচারের পর ‘শেষ ভালোর’ আশা

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে শান্তিপূর্ণভাবে প্রচার পর্ব শেষ হলেও সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কার কথা বলেছেন প্রধান দুই দলের প্রার্থীরা।

মাসুম বিল্লাহসুলাইমান নিলয়, ও মজিবুল হক পলাশ, নারায়গঞ্জ থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Dec 2016, 06:26 PM
Updated : 21 Dec 2016, 06:34 PM

বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ সামনে রেখে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও দেওয়া হয়েছে ‘যে কোনো মূল‌্যে’ সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস।

এরপরেও শেষ পর্যন্ত এতদিনের পরিবেশ বজায় রাখার দাবি তুলেছেন প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী নৌকার সেলিনা হায়াৎ আইভী ও ধানের শীষের সাখাওয়াত হোসেন খান।

‘তৃতীয়পক্ষের’ বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা জানিয়ে আসা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আইভী বলছেন, সুষ্ঠু ভোটের জন‌্য নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে তৎপরতা চালাতে হবে।

তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাখাওয়াত হোসেন খানও নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনীর প্রতি প্রতিশ্রুতি পূরণের আহ্বান জানিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জে দলের বাইরেও জনপ্রিয় আইভী এবার নৌকার প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনী প্রচারে উত্তাপের বদলে দেখা গেছে উৎসবের আমেজ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাখাওয়াতও এবার নির্বাচনে নেমেই মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন।

এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে সুষ্ঠু ভোটের পক্ষে থাকার শপথ করেছেন তারা। ভোটে যারই জয় হোক না কেন পরদিন সকালে সাখাওয়াতের সঙ্গে মিষ্টিমুখ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আইভী। অপরদিকে ভোটে জিতলে বিদায়ী মেয়রের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সাখাওয়াত।

এদিকে ইঙ্গিত করে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের চেয়ারম‌্যান অধ‌্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-দল-ভোটারদের মনোভাব পরিবর্তন হয়েছে নারায়ণগঞ্জের এ ভোটে। এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশে সুন্দর নির্বাচনের আভাস রয়েছে।

“প্রধান দুই দলের মনোভাবও ইতিবাচক লক্ষ করছি। আশা করি, আগের সব নির্বাচনের চেয়ে ভালো নির্বাচন হবে এবার।”

নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর মোর্চা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিউজি) পরিচালক আবদুল আলীমও নির্বাচনী পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বড় দুই দলের জাতীয় নেতারা মাঠে গিয়েছেন, নেই কোনো বাধা-হামলা। প্রচারে এ পর্যন্ত কোনো রকমের নেতিবাচক বা শঙ্কা জাগায় এমন কিছু দেখিনি। সব মিলয়ে বছর শেষে ভালো নির্বাচন হতে যাচ্ছে বলা যায়।”

মঙ্গলবার রাত ১২টায় শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা; এদিন শেষ মুহূর্তের গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করেন প্রার্থীরা।

প্রচার শেষে সেলিনা হায়াৎ আইভী সাংবাদিকদের বলেন, “কোনো আশঙ্কা আমি উড়িয়ে দিচ্ছি না। প্রার্থীদের মধ্যেতো আশঙ্কা থাকেই।”

কী নিয়ে তার এই আশঙ্কা তা স্পষ্ট করেননি সদ্য বিদায়ী মেয়র আইভী, যিনি এর আগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময়ে ‘তৃতীয় পক্ষ’ বিশৃঙ্খলা করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।

এই ‘তৃতীয়পক্ষ’ বলতে আইভী পারিবারিক উত্তরাধিকারে পাওয়া রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম ওসমানকে বুঝিয়েছেন বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জের অনেকে।

২০১১ সালে দলের অনেকের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নারায়ণগঞ্জে প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের শামীমকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন আইভী।

এবারও জয়ের বিষয়ে আশাবাদী আইভী বলেন, “ইসি যদি নিরপেক্ষ থাকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি সক্রিয় থাকে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। তাদের সেই তৎপরতা দেখাতে হবে।”

গত নির্বাচনের মত এবার ভোটের মাঠ ছাড়তে নারাজ বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের কথায়ও আছে শঙ্কার আভাস। এতদিনের পরিস্থিতি ভোট শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বজায় রাখার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “পুলিশ, র‌্যাবকে সহায়তা করার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার বলেছে, একটি নির্বাচন, তাই প্রচলিত বাহিনী দিয়েই নির্বাচন করতে চায়।

“নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ হবে- তাদের এমন কথায় আমরা আস্থা রাখতে চাই।”

নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর পক্ষে ‘কাজ করতে পারে’ বলে আশঙ্কার কথা বলে আসছেন সাখাওয়াত।

তার দল বিএনপির একদল নেতাও মঙ্গলবার ঢাকায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে দেখা করে তার নেতৃত্ব কমিশনের শেষটা ‘ভালো’ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। আগামী ফেব্রুয়ারিতে মেয়াদ শেষ হতে চলা এই নির্বাচন কমিশনকে সরকারের আজ্ঞাবহ আখ‌্যা দিয়ে আসছে বিএনপি।

এই কমিশনের অধীনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের অনেক নির্বাচন বর্জন করেছে রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচিত দলটি।

২০১১ সালে এই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগের রাতে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপির প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার।

তবে এবার আর তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না জানিয়ে ধানের শীষ নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে থাকা সাখাওয়াত বলছেন, সে সময় দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপি প্রার্থী। তবে এবার তিনি ‘শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত টিকে থাকবেন।

প্রধান দুই প্রার্থীর কথায় অজানা ‘আশঙ্কার’ প্রকাশ ঘটলেও তাদের আশ্বস্ত করছে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে গুলি করার নির্দেশের কথা জানিয়েছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান।

এ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে তার সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।“

দুপুরে নগরীর মাসদাইর পুলিশ লাইনস এলাকায় নির্বাচনে নিয়ে পুলিশ সদস্যদের ব্রিফিং শেষে ডিআইজি নুরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “আইনে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষায় গুলি চালানোর বিধান রয়েছে। নির্বাচনে কেউ ভোট কেন্দ্র দখল ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই বা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্ন করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি ছুড়বে।”

এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে ‘যদি কোনো পুলিশ সদস্য গুলি না ছোড়ে’ তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন এর আগে বিভিন্ন সময় গুলির ছোড়ার নির্দেশ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়া এই ‍পুলিশ কর্মকর্তা।

শেষ দিনের প্রচারণা

মঙ্গলবার সকালে নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেওভোগ এলাকার মধ্য দিয়ে শেষ দিনের প্রচার শুরু করেন সদ্য বিদায়ী মেয়র আইভী। দুপুরে দুই ঘণ্টার বিরতি নিয়ে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদনগর এলাকা দিয়ে তা শেষ করেন তিনি।

বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নৌকার পক্ষে নগরীর চাষাড়া এলাকা থেকে বিশাল মিছিল বের করা হয়। বড় আকারের একটি নৌকা সামনে নিয়ে চলা এই মিছিল বঙ্গবন্ধু সড়ক ধরে নিতাইগঞ্জ মোড় ঘুরে পুনরায় চাষাড়া এলাকায় পৌঁছে শেষ হয়।

১৫ ওয়ার্ডের বাবুরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ শেষে দেওভোগ পাক্কা সড়কে হযরত মিন্নত আলীর মাজারে যান আইভী। সেখান থেকে মাজারের খাদেমসহ কয়েকজনের কাছে নৌকার পক্ষে সমর্থন চেয়ে কাপড়ের জন্য সুখ্যাত সোহরাওয়ার্দী মার্কেটে গিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে যান।

এরপর নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটে গিয়ে জিমখানা বস্তিবাসী নারীদের কাছে ভোট চান আইভী।

বিকাল ৪টার দিকে নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ শুরু করেন। নিতাইগঞ্জ থেকে শীতলক্ষ্যা এলাকা হয়ে রিকশায় চেপে ভোট চাইতে যান তিনি।

সেখানে আল আমিন বাজার, কদমতলী ব্রিজ, সৈয়দপুর, কড়ইতলা, জিয়ারা, শহীদনগর এলাকার বিভিন্ন জনাকীর্ণ এলাকায় গেলে তাকে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

সেখান থেকে শহীদনগর ১ নম্বর ব্রিজের পারে ভোট প্রার্থনার মাধ্যমে শেষ হয় প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার ভোটারের মুখোমুখি হওয়া ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর প্রচারণা।

গণসংযোগ শেষে আইভী সাংবাদিকদের বলেন, “শেষ প্রচারণা চালিয়ে আসলাম ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। এখন মানুষ তাদের ভোট দিবে সেই অপেক্ষায় আছি। এখনকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ যেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত থাকে।”

সকালে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাইকপাড়া, নয়াপাড়া, নিতাইগঞ্জ, তামাকপট্টি ও নোলুয়াপাড়ায় এলাকায় গণসংযোগ করেন বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান।

এরপর দুপুরের বিরতি নিয়ে সোয়া ৩টার পর নগরীর ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় অবস্থিত জেলা বিএনপির কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে, জামতলা ধোপাপট্টি, নিউ চাষাড়ার হাজী ব্রাদার্স রোড, শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার সড়ক, মাসদাইর বাজার, কলেজরোড প্রভৃতি এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে ভোট চান সাখাওয়াত।

ধোপাপট্টি এলাকায় এক পথসভায় বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমি মেয়র পদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রার্থী। আপনারা সবাই আমাকে দোয়া করবেন এবং ধানের শীষ মার্কায় ভোট দেবেন।”

গণসংযোগের পর সাখাওয়াত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রচার-প্রচারণা শেষ করেছি। এখন পর্য্ন্ত যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাতে আমরা মনে করি, মাঠ সম্পূর্ণ আমাদের, জনগণের মতামত সম্পূর্ণ আমাদের ফেভারে আছে।

“এখন প্রশাসন যদি সুষ্ঠু ভূমিকা পালন করে, সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, আমরা বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হব।”

কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা

নির্বাচন ঘিরে নারায়ণগঞ্জ নগরীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলবাহিনীর কর্তাব্যক্তিরা।

মঙ্গলবার শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যদের টহল দেখা গেছে। গণসংযোগের সময় দুই প্রার্থীর সঙ্গে এদিন পুলিশ পাহারা ছিল।

নির্বাচনে বিজিবিসহ সাড়ে নয় হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার।

এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব পর্যবেক্ষকরাও কাজ করছেন বলে জানান তিনি।

নুরুজ্জামান তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে প্রচার-প্রচারণা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বুধবার বেলা ১১টা থেকে ব্যালট পেপার ও নির্বাচনী মালামাল ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে।”

এদিকে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের চাহিদার অতিরিক্ত ফোর্স দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও দেওয়া হবে।”

তিনি বলেন, “কে সরকারি দল বা কে বিরোধী দল এটা দেখার সময় নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন ও নাগরিকদের নিরাপত্তা ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সকল পদক্ষেপ নেবে। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”