দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার শেরেবাংলানগর ইসি কার্যালয়ে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাত করে এ দাবি জানায়।
বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, নারায়ণগঞ্জে এখন পর্যন্ত প্রচারে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি; তবে যে কোনো সময়ই পরিস্থিতির ‘অবনতি হতে পারে’।
“আমরা এ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের জন্য আবারও বলেছি সিইসির কাছে, কমিশন সে ব্যবস্থা করছে না। ভোটের পরিবেশ ভালো রাখতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য প্রয়োজনে আরও বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন সিইসি।”
বিদায়ের আগে একটা ভালো নির্বাচন করার অনুরোধও সিইসির কাছে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নজরুল ইসলাম বলেন, “বর্তমান কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন ভালো হয়নি; তাদের প্রতি আমাদের আস্থা নেই। কিন্তু দেশে একটিই কমিশন। এজন্যে আসতে হয়। আশায় আছি- শেষ নির্বাচনটা ভালো করার ব্যবস্থা নেবে।”
সিইসিও ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের আপ্রাণ চেষ্টার’ কথা জানিয়েছেন বলে জানান এ বিএনপি নেতা।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগে ২২ ডিসেম্বর ভোট হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে। এছাড়া ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও তাতে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি।
ইসির সার্কুলারটি জানে না বিএনপি
ভোটের আগে বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের জারি করা সার্কুলার সম্পর্কে বিএনপির ‘জানা ছিল না’ বলে দাবি করেছেন দলটির নেতা নজরুল ইসলাম খান।
নির্বাচনী বিধি ও পরিপত্র অনুযায়ী, ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ ও বহিরাগতদের ভোটের তিনদিন আগে নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এই বিধির কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে দলের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে শেষ সময়ে প্রচারে যেতে পারেননি বলে দলের নেতাদের অভিযোগ।
চেয়ারপারসনের প্রচারে যেতে না পারার বিষয়টি সাক্ষাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে উপস্থাপন করেছেন বলে জানান বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম।
“আমরা বিষয়টি সিইসিকে জানিয়েছি। তিনি (সিইসি) ব্যাখ্যা দিয়েছেন- আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রতিবারই বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার বিষয়ে সার্কুলার জারি করা হয়। এবারও তাই হয়েছে।”
তবে এ ধরনের কোনো সার্কুলার বিএনপি পায়নি বলে দাবি করেন নজরুল।
তিনি বলেন, “খালেদাকে প্রচার থেকে দূরে রাখতেই এ নির্দেশনা। আমরা ইসির এ ধরনের সার্কুলার সম্পর্কে জানি না। আইন ও বিধিতেও এ বিধান নেই।”
আগামীতে এই বিধিনিষেধের বিষয়ে আরও আরো প্রচারের দাবি জানান নজরুল ইসলাম খান। বিএনপি নেতা আব্দুস সালামও প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন।