১০ দিন আগে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমা শুরু হয়।
এখনও কেউ অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেননি বলে জানিয়েছেন ইসির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অণুবিভাগের সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক।
তিনি বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রথমবারের মতো এ সুযোগ রাখা হয়েছে।তবে এখনও কেউই অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেননি। সরাসরি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে জমা দেওয়ার সুযোগ থাকাতেই হয়তো সাড়া পড়েনি।”
নির্বাচন কমিশনের এই কর্মকর্তা একথা বললেও নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যারা বাধার মুখে পড়েন সেই বিএনপি এই ভোটে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় কারও অনলাইনে যাওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না।
স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের নেতৃত্ব নির্বাচিত হবেন। এই ভোটকে ‘অর্থহীন’ আখ্যা দিয়ে তা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদও।
ফলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার জোট শরিকই এ ভোটে থাকছে। তিন পার্বত্য জেলা বাদ দিয়ে বাকি ৬১ জেলায় প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এরইমধ্যে সমর্থিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। সদস্য পদেও তৃণমূলে প্রার্থী চূড়ান্তের প্রক্রিয়া চলছে।
চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। বাছাই ৩ ও ৪ ডিসেম্বর; প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১১ ডিসেম্বর। ভোট হবে ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত।
কোনো পদে একজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা এবং যাচাই বাছাই শেষে প্রার্থিতা বৈধ হলে প্রত্যাহারের সময় শেষের পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
জেলা প্রশাসকরা এ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসাররা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কোথাও কোথাও উপজেলা নির্বাচন অফিসারকেও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা করা হয়েছে।
জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার হবেন।
এ হিসেবে স্থানীয় সরকারের চার ধরনের প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬৭ হাজার নির্বাচিত প্রতিনিধি এ নির্বাচনে ভোট দেবেন।