জঙ্গিবাদ দমন নিয়ে ‘কনভেনশন’ করব: হান্নান শাহ

জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণ করতে ‘কনভেনশন’ করবে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2016, 11:26 AM
Updated : 1 August 2016, 02:02 PM

সোমবার দুপুর এক সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ এতথ্য জানান।

তিনি বলেন, “আমি এখানে স্পষ্ট বলতে চাই, ইনশাল্লাহ জনগণ ঐক্যমতে পৌঁছুবে। একটা কাউন্সিল অথবা কনভেনশন করা হবে। সবাইকে আমরা দাওয়াত দেব; আওয়ামী লীগকেও দাওয়াত দেব- আপনারা আসেন।”

কনভেনশনের উদ্দেশ্য তুলে ধরে হান্নান শাহ বলেন, “সেখানে কী করে জঙ্গিবাদ দমন করা যায়, দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা বিদেশ থেকে আমদানি করা আইএস-আলকায়দাকে কীভাবে মোকাবেলা করতে হয় সেটা আমরা নির্ধারণ করে দেব। সরকারকে বলব, এই এই কাজ করো। তবেই জঙ্গিবাদ থাকবে না, সন্ত্রাসী থাকবে না।”

গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যমত গড়ে তোলার ব্যাপারে সচেষ্ট হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, “এই জাতীয় ঐক্য সরকারের করার উচিৎ ছিল। তারা তো করেনই নাই, বরং এটাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছেন।”

জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলায়তনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মুদ্রা পাঁচার মামলায় উচ্চ আদালতের দেওয়া সাজার প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়।

সরকারের সমালোচনা করে হান্নান শাহ বলেন, “এই সরকার নিজেই জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে, সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে। গত তিন-চারদিন ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কী হচ্ছে? আপনারা কী সন্ত্রাসীদের চোখে দেখেন না?”

মুদ্রা পাঁচার মামলায় তারেক রহমান ন্যায় বিচার পাননি বলেও অভিযোগ করেন দলের স্থায়ী কমিটর এই সদস্য।

“এই বিচার ক্রটিপূর্ণ। ইনশাল্লাহ বাংলাদেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আইনি পন্থায় আমরা তারেক রহমানকে খালাস করে নিয়ে আসব।”

ভারতে মুদ্রা পাঁচার হচ্ছে

আসম হান্নান শাহ বলেন, “রমজানে তিন দিনে ভারতীয় দূতাবাস দেড় লক্ষ বাংলাদেশিকে ভিসা দিল ভারত, ঈদের কেনা-কাটা করার জন্য। এই দেড় লক্ষ মানুষ যদি বেশি না ৩০ হাজার টাকা করে নিয়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাঁচার হয়েছে ভারতে। এই টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে যায় নাই।”

ভারতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “হিন্দুস্থানে যে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়, তার মধ্যে মধ্য প্রাচ্য আছে, আমেরিকা, ইউরোপের পর আসে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ হচ্ছে তৃতীয়। আমার প্রশ্ন- এই যে কোটি কোটি টাকা ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে উপার্জন করে সেদেশে পাঠাচ্ছে তার মধ্যে কত টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে যায়? এই যে মানি লন্ডারিং হচ্ছে, তা সরকার স্বীকার করে কিনা?”

“যদি স্বীকার না করে, ভবিষ্যতে হিসাব হবে। সরকারের মাজায় যদি জোর থাকে, ভারতে যে মুদ্রা পাঁচার হচ্ছে এটা বন্ধ করে দেখিয়ে দিন। তাহলেই বুঝব, হ্যাঁ আপনারা সঠিকভাবে মানি লন্ডারিং অপরাধের বিচার করতে জানেন।”

সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনির হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি আবদুস সালাম আজাদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম পটু, মারুফ আল হাসান, জিয়াউদ্দিন শাহীন, সৈয়দ আজম উদ্দিন, ইয়াসীন আলী, সাদরাজ জামান, আনু মোহাম্মদ শাহীন, কামরুজ্জামান বিপ্লব, সাহাবুদ্দিন মুন্না, লিটন মাহমুদ, রফিক হাওলাদার, আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বক্তব্য রাখেন।