ভবন ভাঙার পর ‘উদ্বাস্তু’ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো

বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভাঙার পর ক্ষমতাসীন এই দলের বেশিরভাগ সহযোগী সংগঠনগুলো এখন ‘উদ্বাস্তু ‍অবস্থায়’ রয়েছে।

কাজী মোবারক হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2016, 02:44 PM
Updated : 20 July 2016, 02:46 PM

গত ১৭ জুলাই ওই ভবন থেকে বেরিয়ে এলেও এখনও নতুন কার্যালয় নিতে পারেনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

সংগঠনগুলোর নেতারা বলছেন, তারা এখন ‘উদ্বাস্তু’ অবস্থায় রয়েছেন। তবে সংগঠনের কার্যক্রম চালানোর জন্য নতুন কার্যালয় খুঁজছেন।

২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর এই ভবন ভাঙার কারণে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসেবে ধানমণ্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়কে ব্যবহার করবে আওয়ামী লীগ।

“মহানগর আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠন তাদের সুবিধা মতো অফিস ভাড়া করে নেবে,” বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

আপাতত ধানমণ্ডির কার্যালয়ে কয়েকটি সংগঠন অস্থায়ীভাবে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা জানলেও তাদের বসার কোনো স্থান নেই। এখনও নতুন কার্যালয় ঠিক করতে পারেননি ঢাকা মহানগরের নেতারা।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা অফিস দেখছি। এখন পর্যন্ত কোথায় স্থানান্তর করব বলতে পারছি না। অফিস থেকে মালামাল নামিয়ে রাখছি।

জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ পর্যন্ত ধানমণ্ডির কার্যালয়টিকে আপাতত ‘অস্থায়ী অফিস’ হিসেবে ব্যবহার করবেন বলে জানান তিনি।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাউসার বলেন, “কোথাও এখনও ভালো অফিস পাইনি। তবে আশা করি, দু-চার দিনের মধ্যে পেয়ে যাব।”

এখনও নতুন কার্যালয় ঠিক করতে পারেননি বলে জানান মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পিনু খানও।

ধানমণ্ডির কার্যালয়ের তিন তলায় একটি কক্ষে সাময়িকভাবে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে জানান যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল।

ভাঙার আগে এই ভবনে ছিল সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যালয়ও

শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ বলেন, “আমরা এখনও কোথাও অফিস পাইনি। ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের পাশের একটি ভবনের একটি ছোট কক্ষে আপাতত বসছি।”

তাঁতী লীগের সভাপতি এনাজুর রহমান চৌধুরী বলেন, “১৯, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দু-তলায় আপাতত বসছি। এখনও অফিসিয়ালি পাইনি।”

তবে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা জানিয়েছেন, তারা নতুন কার্যালয় ঠিক করে ফেলেছেন।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় গ্রন্থনা ও প্রকাশনা-বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু বলেন, “২৫ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আমরা নতুন একটা অফিস নিয়েছি। এখন থেকে সেখানেই আমাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম চলবে।”

ছাত্রলীগের অফিস নিয়েছে ১৯ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের তিন তলায়।

বাংলাদেশের ইতিহাসের অনেক ঘটনার স্মৃতি বিজড়িত ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভেঙে সেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বহুতল ভবন।

১০ তলা এ ভবনে থাকবে ৬-৭ তলা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় থাকবে। নতুন ভবন নির্মাণের কাজ দুই বছরের মধ্যে শেষ করার আশা করা হচ্ছে।