খুতবায় নজরদারি নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়: মন্ত্রী

সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে জুমার খুতবায় নজর রাখা কোনো নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে নয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী শাজাহান খান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 July 2016, 10:49 AM
Updated : 12 July 2016, 10:56 AM

বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় বয়ানে জঙ্গিবাদে প্ররোচনা জোগানো হয় বলে অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষাপটে নানা পদক্ষেপের সঙ্গে জুমার খুতবায়ও নজর রাখা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি জানানো হয়।

জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সরকারের এই পদক্ষেপে কারও কারও সমালোচনার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে শাজাহান খান বলেন, “একটি মহল মসজিদে খুতবার উপর নজরদারি নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে।

“আসলে সব মাওলানা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে নয়। তাই খুতবা পরার সময় জঙ্গিবাদ নিয়ে কোনো ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে কি না, তার উপর নজরদারি রাখা হবে। খুতবা নিয়ন্ত্রণ করতে নয়।”

জঙ্গি অপশক্তিকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধপরাধ গণ বিচার আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

এই ফোরামের আহ্বায়ক শাজাহান খান বলেন, জনগণকে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে উদ্বুদ্ধ করতে আগামী ১৩ জুলাই বুধবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন হবে এবং আগামী ১৯ জুলাই থেকে তিন মাস ঢাকাসহ জেলা পর্যায়ে মত বিনিময়সহ নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।

“৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই মাতৃভূমিকে কখনই ধর্মান্ধ, খুনি, স্বাধীনতাবিরোধীদের কাছে জিম্মি হতে দেব না,” বলেন শাজাহান খান।

‘বিএনপি-জামায়াত ছাড়া সবাই ঐক্যবদ্ধ’

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি ছাড়া বাংলাদেশের সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছে বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি বলেন, “মোসাদের সাথে বিএনপি নেতার বৈঠকের খবর প্রকাশের পর থেকে বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা বেড়েছে। এই বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্ক মোসাদের সাথে, আইএসের সাথে। তাদের সাথে সম্পর্ক করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।”

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল আয়োজিত জঙ্গিবাদবিরোধী মানববন্ধনে একথা বলেন আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল।

জঙ্গি প্রতিরোধে  অভিভাবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “জঙ্গি নির্মূলে অভিভাবক এবং পরিবারের মধ্যে বিপ্লব ঘটাতে হবে। আপনার সন্তানকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জঙ্গিবাদ রুখে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিন।।”